দেশের সময় ওয়েবডেস্ক বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কুণাল ঘোষ । তিনি শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট শেয়ার করেছেন। তিনি লেখেন, ‘আমি তৃণমূল-এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র পদে থাকতে চাইছি না। সিস্টেমে আমি মিসফিট। আমার পক্ষে কাজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। আমি দলের সৈনিক হিসেবেই থাকব। দয়া করে দলবদলের রটনা বরদাস্ত করবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নেত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার সেনাপতি, তৃণমূল আমার দল।’
পাশাপাশি এদিন নরেন্দ্র মোদীর আক্রমণের পালটা একটি টুইট করেন কুণাল। তিনি লেখেন, ‘নরেন্দ্র মোদী বাংলার মাটিতে একরাশ কুৎসা করে গেলেন। যুক্তিতে তাঁকে ধুয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু, ঘটনা হল তাঁর কড়া সমালোচনার মূল দায়িত্ব যাঁদের, দুটি আলাদা বিরোধী দলের লোকসভার দলনেতারা তো প্রধানমন্ত্রীরই লোক। এঁদের সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ। এই দুজনকে দুভাবে ব্যবহার করেন মোদী। একজনকে রোজ ভ্যালি থেকে বাঁচিয়ে গলায় বকলস পরিয়ে রেখেছেন।’
নরেন্দ্র মোদি বাংলার মাটিতে একরাশ কুৎসা করে গেলেন।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) March 1, 2024
যুক্তিতে তাঁকে ধুয়ে দেওয়া যায়।
কিন্তু ঘটনা হল তাঁর কড়া সমালোচনার মূল দায়িত্ব যাঁদের, দুটি আলাদা বিরোধী দলের লোকসভার দলনেতারা তো প্রধানমন্ত্রীরই লোক। এঁদের সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ। এই দুজনকে দুভাবে ব্যবহার করেন মোদি। একজনকে রোজ…
কুণাল ঘোষের সার্বিক বার্তা রাজ্য রাজনীতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূলের অন্যতম মুখ হিসেবে হত তিন থেকে চার বছরে উঠে এসেছে কুণাল ঘোষের নাম। তিনি সকালেই তাঁর টুইটার বায়ো বদল করেন। সেখানে তাঁর পরিচয় হিসেবে লেখা হয় ‘সাংবাদিক এবং সমাজকর্মী’।
বৃহস্পতিবার তাঁর একটি টুইটকে কেন্দ্র করে তীব্র আলোচনা পড়ে যায়। তিনি লেখেন, ‘নেতা অযোগ্য গ্রুপবাজ স্বার্থপর। সারাবছর ছ্যাঁচড়ামি করবে আর ভোটের মুখে দিদি, অভিষেক, তৃণমূল দলের প্রতি কর্মীদের আবেগের উপর ভর করে জিতে যাবে, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করবে, সেটা বারবার হতে পারে না।’
তবে কোন নেতাকে উদ্দেশ করে তাঁর এই পোস্ট, সেই বিষয়ে কোনও খোলসা করেননি কুণাল ঘোষ। উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে তৃণমূলের অন্যতম নেতা হিসেবে উঠে এসেছেন কুণাল ঘোষ। দলের অন্যতম মুখপাত্র তিনি। তাঁর এই পোস্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, কলকাতার এক নেতার প্রতি রুষ্ঠ কুণাল। তাঁর ভূমিকায়, কাজে গলের প্রভূত ক্ষতি হচ্ছে বলে ঘনিষ্ঠমহলে মত প্রকাশ করেছেন তিনি। সেই অভিমানেই তিনি দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ পদ ছেড়েছেন বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের। সেই নেতাকে নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। এদিকে এরইমধ্যে আবার খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। খানিক রসিকতার সুরেই বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে বলতে শোনা যায়, “অপেক্ষা করুন না। লোকসভা ভোট আসতে দিন, তারপর দেখবেন কতজনের কত কী উঠে যাবে।” আক্রমণ শানিয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীও।