দেশের সময় : ভিড়ের মিটারে কুম্ভের থেকে কতটা পিছিয়ে গঙ্গাসাগর?
সম্প্রতি গঙ্গাসাগর ও কুম্ভের মধ্যে কার্যত তুলনা টেনে দিয়েছিলেন খোদ বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিড়ের নিরিখে কতটা পিছিয়ে গেল গঙ্গাসাগর?
এবার বার বারই গঙ্গাসাগরের সঙ্গে প্রয়াগের কুম্ভের তুলনা করা হচ্ছিল। তবে অনেকেরই মতে, গঙ্গাসাগর তো গঙ্গাসাগরই। আর কুম্ভ তো কুম্ভ। দুটি বিষয়ের সঙ্গে তুলনা কি আদৌ চলে? দেখুন ভিডিও
এবার দেখে নেওয়া যাক
গঙ্গাসাগর ২০২৫- হিসেব বলছে এবারের গঙ্গাসাগরে ভিড় ছাড়িয়ে গিয়েছে ৮৫ লাখ। কার্যত জনসমুদ্র। একেবারে কাতারে কাতের মানুষ এসেছেন পূণ্যের টানে। মঙ্গলবার সকাল ৬টার পর থেকেই দলে দলে পূণ্যার্থীরা জড়ো হয়েছিলেন সাগর সঙ্গমে। কনকনে ঠান্ডা। তার মধ্যেই শুরু হল মহাস্নান। একাধিকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন গঙ্গাসাগরে।তাঁদের রীতিমতো এয়ারলিফ্ট করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
এদিকে সম্প্রতি গঙ্গাসাগর ও কুম্ভের মধ্যে কার্যত তুলনা টেনে দিয়েছিলেন খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কুম্ভ মেলা
ও গঙ্গাসাগর মেলার সঙ্গে তুলনা টেনে এনেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিবেদনে জানা গিয়েছিল, মমতা বলেছিলেন, ‘এটা কুম্ভ মেলার থেকে কম কিছু নয়। বরং, এটা কুম্ভ মেলার থেকেও বড়!’
মমতা বলেছিলেন, গঙ্গাসাগর মেলার পরিসর এতটাই বিস্তৃত যে দেশের নানা প্রান্ত থেকে বহু মানুষ এই মেলায় আসেন। তাঁদের সকলের সুবিধার্থে বহু ভাষায় মেলায় ঘোষণা করতে হয়।
মুখ্যমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেছিলেন, কুম্ভ মেলায় পৌঁছানো অনেক সহজ। কারণ, সড়কপথ, বিমান এবং রেলে সেখানে যাওয়া যায়। কিন্তু, সাগরের এই মেলায় পৌঁছানো খুবই কঠিন। কলকাতা থেকে সেখানকার দূরত্ব প্রায় ১৩০ কিলোমিটার। এর জন্য পুণ্যার্থীদের ফেরি করে নদী পেরোতে হয়।
মমতা এই প্রসঙ্গে জানান, ‘আপনারা যদি যাতায়াত সংক্রান্ত প্রতিকূলতা বিচার করেন, তাহলে দেখবেন, কুম্ভ মেলার তুলনায় গঙ্গাসাগর মেলায় পৌঁছানো অনেক কঠিন।’
তিনি জানান, শুধু মুড়িগঙ্গা নদী পেরোলেই হবে না। তারপর আবার সড়কপথে আরও ৩০ কিলোমিটার যেতে হবে।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এবার গঙ্গাসাগরে সরকারি তরফে নানা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পূণ্যার্থীদের সুরক্ষায় ছিল নানা বন্দোবস্ত।
কুম্ভতেও ছিল কড়া নিরাপত্তা। সেখানে ভিড় কেমন হল?
উত্তরপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, আজ অমৃত স্নানের উৎসবে ৩.৫০ কোটিরও বেশি ভক্ত, সাধু স্নান করেছেন ত্রিবেণীর পরিষ্কার জলে। অমৃত স্নান উৎসবের সফলভাবে সম্পূর্ণ হওয়ার পরে সনাতন ধর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া সমস্ত আখড়া, মহাকুম্ভ মেলা প্রশাসন, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সাফাইকর্মী, স্বেচ্ছাসেবকদের, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে, মাঝি, মহাকুম্ভের সঙ্গে যুক্ত রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত বিভাগকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।