মধ্যমগ্রামে একটি ভাড়া বাড়িতেই থাকতেন ফাল্গুনী এবং আরতী ঘোষ। জয়েন্ট সিপি ক্রাইম রুপেশ কুমার জানিয়েছেন, সুমিতা ঘোষকে খুন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে হাড়হিম ঘটনা কলকাতার কুমোরটুলিতে । দুই মহিলা একটি ট্রলিব্যাগে মুণ্ডহীন দেহ নিয়ে গঙ্গায় ফেলার চেষ্টা করেন। তখনই হাতেনাতে পাকড়াও করেন স্থানীয়রা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয়রা পুলিশের খবর দিলে দুই মহিলাকে আটক করে পুলিশ । ধৃতরা দাবি করে দেহটি কুকুরের। যদিও এলাকাবাসীদের অভিযোগ, ট্রলিব্যাগে যে দেহ পাওয়া গিয়েছে সেটি একজন মহিলার।
প্রথমটায় তাঁরা মানতে না চাইলেও স্যুটকেস খুলতেই সবটা স্পষ্ট হয়ে যায়। দুই মহিলার হাতে থাকা নীল রঙের ট্রলিব্যাগ থেকে বেরিয়ে আসে এক মহিলার টুকরো টুকরো দেহাংশ। মঙ্গলবার সকালে কলকাতার কুমোরটুলির আহিরীটোলা ঘাটে ওই ট্রলিব্যাগ উদ্ধার হওয়ার পর দুই মহিলাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আর সেখানে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে একের পর এক তথ্য।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, ধৃতরা হলেন ফাল্গুনী ঘোষ ও তাঁর মা আরতি ঘোষ। তাঁদের কাছ থেকে ট্রেনের টিকিট পাওয়া গিয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার কাজীপাড়া থেকে কলকাতার পার্ক সার্কাস পর্যন্ত ট্রেনে আসার টিকিট কাটা হয়েছিল মঙ্গলবার। মনে করা হচ্ছে, ওই ট্রলিব্যাগ নিয়েই ট্রেনে ওঠেন তাঁরা।
আরও জানা গিয়েছে যে, মৃত মহিলার নাম সুমিতা ঘোষ, তিনি সম্পর্কে ফাল্গুনী ঘোষের পিসিশাশুড়ি। তাঁর দেহই কেটে টুকরো করে ট্রলিতে ভরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তবে কী কারণে খুন করা হল ওই মহিলাকে, তা তদন্ত করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে আরও জানা গিয়েছে যে, মধ্যমগ্রামে একটি ভাড়া বাড়িতেই ওই ঘটনাটি ঘটে। সেখানেই থাকতেন ফাল্গুনী এবং আরতী ঘোষ। জয়েন্ট সিপি ক্রাইম রুপেশ কুমার জানিয়েছেন, সুমিতা ঘোষকে খুন করা হয়েছে। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এদিন সকালে ওই ফাল্গুনী ও আরতি ট্রলিব্যাগে দেহ ভরে আহিরীটোলা ঘাটে গিয়ে গঙ্গায় ফেলার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ। সেই সময় তাঁদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ইতিমধ্যেই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সুতানুটি আউট পোস্টের ১০০ মিটারের মধ্যে গোটা ঘটনা হলেও কেন পুলিশ কিছু টের পেল না সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।