দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। তবে শনিবার সকালে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে বিকেলেই জামিন পেয়েছেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। আর আদালত থেকে বেরিয়েই কৌস্তভের হুঙ্কার, ‘‘মমতার রাতের ঘুম কেড়ে নেব।’’ ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে বেরিয়ে ন্যাড়া হলেন কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী৷
শুধু মুখের কথা নয়, আদালত চত্বরেই নাপিত ডেকে মাথা ন্যাড়া করতে বসে পড়েন কৌস্তভ৷ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে বাংলার মানুষ এবার আরও ভাল ভাবে চিনল৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাতের ঘুম কেড়ে নেবো এবার৷ আরও কঠিন লড়াই আসছে৷ আদালতের লড়াইয়ে নাস্তানাবুদ করব৷ এটা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের জয়৷’
সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের পর মুখ্যমন্ত্রী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন কৌস্তভ৷ পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে দীপক ঘোষের দু’টি বই নিয়ে প্রচারের হুমকি দেন কংগ্রেস নেতা৷ এর পরেই শুক্রবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বড়তলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক তৃণমূল কর্মী৷ ভোর রাত তিনটে নাগাদ কংগ্রেস নেতার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ৷ দীর্ঘক্ষণ জেরার পর কৌস্তভকে এ দিন সকালে গ্রেফতার করা হয়৷ তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, শ্লীলতাহানি, মহিলার সম্মানহানি, হুমকি, অশান্তিতে উস্কানির মতো গুরুতর অভিযোগ আনে পুলিশ৷ যদিও ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে জামিন পেয়ে যান কংগ্রেস নেতা৷
আদালত চত্বরে মাথা ন্যাড়া করা পর কৌস্তভ ফের বলেন, ‘স্বৈরাচারী শাসকরা এসবই করেন৷ এবার তাদের উৎখাত করার দায়িত্ব আমাদের৷ সেই কারণেই আজকে আদালতের সামনে পণ, প্রতিজ্ঞা করলাম৷ যে কথা বলেছি, তা আরও একশো গুন জোরে বলব৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমার মাথায় চুল গজাবে না৷’