দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নয়া বছরের শুরুতে শীতের দেখা মিললেও তা যে দীর্ঘস্থায়ী হবে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
জানুয়ারির চতুর্থ দিনেও শীতের কামড় এখনও সে ভাবে অনুভব করা যাচ্ছে না। ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়া কলকাতা তথা রাজ্যের প্রায় সব জেলা। মঙ্গলবার রাজ্য জুড়ে তাপমাত্রা কমেছে। তবে বুধবার থেকেই রাজ্যে শীতের দাপট কমতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এবারও ভিলেন সেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা।
শহরবাসীকে স্বস্তি দিয়ে তাপমাত্রার পারদ সামান্য হলেও নামল কলকাতায়। তবে জানুয়ারির চতুর্থ দিনেও শীতের কামড় এখনও সে ভাবে অনুভব করা যাচ্ছে না। ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়া কলকাতা তথা রাজ্যের প্রায় সব জেলা। মঙ্গলবার রাজ্য জুড়ে তাপমাত্রা কমেছে। তবে বুধবার থেকেই রাজ্যে শীতের দাপট কমতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ভিলেন সেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা।
তাপমাত্রার খানিকটা কমার পাশাপাশি মঙ্গলবার ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার জেরে কমেছে দৃশ্যমানতা। ফলে বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন দেরিতে চলছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। অন্য দিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বছরের এই সময় যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম।
আবহবিদরা জানিয়েছেন, বুধবার থেকেই কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। বাতাসের জলীয় বাষ্পে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ বাড়ার ফলে কনকনে ঠান্ডার আমেজ উধাও হয়ে দিনের বেলা অস্বস্তিকর আবহাওয়া তৈরি হতে পারে বলেও পূর্বাভাস। আবহবিদরা আরও জানিয়েছেন, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে উত্তুরে হাওয়া বাধা পাওয়ায় কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হবে না।
সপ্তাহান্তে শীতের দাপট আরও কমতে পারে বলেও মনে করেছে মৌসম ভবন। মৌসম ভবন জানিয়েছে, সোমবার একটি ঝঞ্ঝা কাশ্মীরের উপর এসেছে। এর জেরে পাহাড়ি এলাকায় তুষারপাত এবং সমতলে বৃষ্টি হবে। তার পরে সেটি মধ্য ভারতের দিকে বয়ে আসবে। প্রথম ঝঞ্ঝাটি উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে বিদায় না নিতেই বৃহস্পতিবার নাগাদ দ্বিতীয় ঝঞ্ঝাটি উত্তর-পশ্চিম ভারতে ঢুকবে।
চলতি সপ্তাহের শেষে সেটি মধ্য ভারতের দিকে বয়ে আসবে। এর ফলে উত্তর-পশ্চিম ভারতে তুষারপাত ও বৃষ্টি হলেও কনকনে ঠান্ডা মিলবে না। বাধা পাবে উত্তুরে বাতাসও। তার ফলেই চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে গাঙ্গেয় বঙ্গের পারদ মাথাচাড়া দেবে। সপ্তাহান্তে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে উঠে যেতে পারে বলে আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। অন্য দিকে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে বেড়ে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যেতে পারে।
সপ্তাহান্তে শীত কমলেও আবহবিদদের অনেকের মতে, দু’টি ঝঞ্ঝার প্রভাব কেটে গেলে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষ দিকে উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে পূর্ব ভারতের দিকে বয়ে আসতে পারে প্রবল কনকনে উত্তুরে বাতাস। সে কারণে অনেকটাই নামতে পারে তাপমাত্রার পারদ। ফলে পৌষ সংক্রান্তির সময় রাজ্য জুড়েই জাঁকিয়ে বসতে পারে শীত।
তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, আগামী চার দিন উত্তর ও দক্ষিণ দুই বঙ্গেই পরিষ্কার আকাশ থাকবে। বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। রাতের তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে না। যে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে সেটা আরও আগামী ৪৮ ঘণ্টা থাকবে।
৪৮ ঘণ্টা পর থেকে রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি বাড়তে পারে। অর্থাৎ ঠান্ডা কমবে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি হতে পারে বাংলা জুড়েই।
কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আগামী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ পরিষ্কার থাকবে। কোনও কোনও জায়গায় সকালের দিকে কুয়াশা কিংবা ধোঁয়াশা থাকতে পারে।