Kolkata Derby Protest
‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান তুলে হাতে-হাত রেখে প্রতিবাদ যুবভারতীর বাইরে। লাল-হলুদ, সবুজ-মেরুন মিলেমিশে একাকার। ডার্বি বাতিলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ক্লাবের সমর্থকরা। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ আন্দোলনকারীদের। একাধিক ক্লাব সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ। দেখুন ভিডিও
শনিবারই ঘোষণা হয়, বাতিল হচ্ছে রবিবারের ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান বড় ম্যাচ। ডার্বি বাতিল হলেও দুই দলের সমর্থকেরা একত্রে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেন। উদ্দেশ্য, আরজি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার জন্য বিচার চাওয়া।
ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানকে এত বছর ধরে প্রতিপক্ষ হিসেবেই দেখেছে বাংলা। কিন্তু গতকাল ডার্বি ম্যাচ বাতিল হওয়ার পরেই সিদ্ধান্ত হয়, দুই দলই একসঙ্গে পথে নামবে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে। সেই মতোই প্রস্তুতি চলছিল এদিন। কিন্তু জমায়েতের কিছুক্ষণ আগে বিধাননগর পুলিশ জানিয়ে দেয়, এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। কোনও জমায়েত চলবে না।
এর পরেও বিকেল চারটে বাজতেই কাতারে কাতারে সমর্থকদের ঢুকতে দেখা যায় ক্রীড়াঙ্গনের দিকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। চিৎকার শোনা যায়, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস!’ চেষ্টা করেও এই ভিড় সামাল দিতে পারেনি পুলিশ। শেষমেশ চালাতে হয় লাঠি। বহু সমর্থককে জোর করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। মিছিলকারীরা চিৎকার করে অভিযোগ করতে থাকেন, কোনও প্ররোচনা ছাড়া, কোনও অশান্তি ছাড় পুলিশ রীতিমতো আক্রমণ করেছে তাঁদের উপর। কোনও রাজনৈতিক স্লোগানও ওঠেনি বলে দাবি তাঁদের। তার পরেও তাঁদের লাঠি মেরে তাড়ানোর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।
বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা জানিয়েছেন, ম্যাচ বাতিলের পরে তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে পথে নেমেছিলেন। স্লোগান তুলেছিলেন ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। জানা গেছে, এর পরে পুলিশ তাঁদের চলে যেতে বলে। সমর্থকরা জানান, তাঁরা কোনও অশান্তি করছেন না। রাস্তা ছাড়বেন না। এর পরেই ছত্রভঙ্গ করতে তাঁদের উপর লাঠি চালানো হয় বলে অভিযোগ। মারধরের মুখে আহত হন মহিলা সমর্থকরাও। প্রিজন ভ্যানে দুই দলের সমর্থকদেরই তোলা হয়।
তবে শেষমেশ পুলিশ পিছু হটল সমর্থকদের প্রবল প্রতিবাদের মুখে। আটক করা সমর্থকদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এর পরে ফের মিছিল করেন প্রতিবাদীরা। এক সমর্থকের কথায়, ‘এতদিন আমরা লড়াই করেছি। কিন্তু আজ আমরা এক হয়ে গেছি। এক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বিরুদ্ধেই আমরা আজ একজোট।’
আন্দোলনকারীদের দাবি, নিরাপত্তার দাবি তুলে ডার্বি বাতিল করা হল কেন? ডার্বি বাতিল করে প্রতিবাদ আটকাতে এত পুলিশ মোতায়েন করা হল কেন? এর থেকে কম পুলিশে তো ডার্বি ম্যাচ হতে পারতো বলো দাবি দুই দলের সমর্থকদের। পুলিশ লাঠির আঘাতে একাধিক সমর্থক আহত হয়েছে বলে দুই দলের তরফেই দাবি করা হয়েছে।