দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন কংগ্রেস নেতা কীর্তি আজাদ। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার কীর্তি। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে লোকসভা ভোটের ঠিক আগে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে এবার কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন তিনি।
দ্বারভাঙা থেকে দু’বার বিজেপির টিকিটে সাংসদ নির্বাচিত হন কীর্তি। যদিও পরে বিজেপি থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির বিরুদ্ধে দিল্লির ক্রিকেট বোর্ড এবং জেলা ক্রিকেটে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন কীর্তি। তার জেরেই ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর তাকে সাসপেন্ড করে বিজেপি। পরে ২০১৯ সালে কংগ্রেসের টিকিটে ধানবাদ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হলেও জিততে পারেননি কীর্তি।
ঘটনাচক্রে তৃণমূল নেত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন রাজধানীতেই। চার দিনের সফরে দিল্লিতে রয়েছেন তিনি। থাকছেন অভিষেকের বাসভবনে। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করে বৃহস্পতিবার রাজ্যে ফেরার কথা তাঁর। সূত্রের খবর, প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ এবং কংগ্রেস নেতার তৃণমূলে যোগদান অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেত্রী উপস্থিত থাকবেন। আবার মঙ্গলবারই মমতার সঙ্গে দিল্লিতে দেখা করতে পারেন কবি ও গীতিকার জাভেদ আখতার এবং সাংবাদিক সুধীর কুলকার্নি।
Congress leader Kirti Azad to join TMC today in Delhi: Sources
— ANI (@ANI) November 23, 2021
(File photo) pic.twitter.com/1WeF8lPsKm
শুধু প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎই নয় মমতার দিল্লি যাত্রার রহস্য উন্মোচিত হচ্ছে। আজ কীর্তি আজাদের সঙ্গেই তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন অশোক তনওয়ার। অশোক তনওয়ার হরিয়ানার কংগ্রেসের ইউনিট প্রধান ছিলেন। কয়েক মাস আগেই মতানৈক্যের কারণে তিনি দল ছেড়েছিলেন। বিকল্প খুঁজছিলেন বেশ কিছুদিন ধরেই। প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, বিজেপি দুর্নীতিপরায়ণ আর কংগ্রেস চোর। মনে করা হচ্ছিল অশোক তানওয়ার নিজস্ব দল গড়তে পারেন কিন্তু না, সুস্মিতা দেব বা সকেত গোখেলদের মতো তাঁরও গন্তব্য হতে চলেছে তৃণমূল।
হরিয়ানা বিধানসভা ভোটে টিকিট ভাগাভাগি নিয়ে আরেক প্রস্থ তিক্ততা বারে ভূপেন্দ্র সিং ও অশোক তানওয়ারের। পরিস্থিতি এমন জায়গায় যায় যে, জনপথে বিক্ষোভ দেখাতেও দেখা যায় অশোক আনোয়ারকে। এর কিছুদিন পরেই কংগ্রেস ছাড়েন অশোক। এই সময় তাঁকে দুষ্মন্ত চৌটালার জননায়ক জনতা পার্টিকে সমর্থন করতে দেখা গিয়েছিল। অর্থাৎ ঠাঁই খুঁজছিলেন এই নেতা। আর ঠিক এই সময়েই তৃণমূল খুঁজছে এমন মুখ যারা দলকে সর্বভারতীয় স্তরে সম্প্রসারিত করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, হরিয়ানার অন্যতম প্রধান দলিত মুখ অশোক তানওয়ার। দলিত ভোটব্যাঙ্ক গড়ার স্বার্থে তাঁকে তুলে এনেছিলেন স্বয়ং রাহুল গান্ধী। কিন্তু ক্রমশই অশোকের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং হুডার।
চার দিনের সফরে দিল্লি গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সফরের দ্বিতীয় দিনেই যে ভাবে সম্প্রসারণ কৌশল সাজাচ্ছেন, তাতে জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু প্রশ্ন থাকছেই। সম্প্রতি কংগ্রেসকে মুহুর্মুহু আক্রমণ করেছে মমতা ব্রিগেড। কংগ্রেস শিবিরের বহু তাৎপর্যপূর্ণ মুখ পা বাড়াচ্ছে তৃণমূলের দিকে। এই অবস্থায় তৃণমূল নেত্রী এবং সনিয়া গান্ধী মুখোমুখি হন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে৷