

রাত পোহালেই কৌশিকী অমাবস্যা । তারাপীঠের সবচেয়ে বড় উৎসব। দেবী তারার মহাদর্শনের জন্য লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ঢল নামবে বলে দাবি মন্দির কমিটির। ইতিমধ্যেই মন্দির চত্বর থেকে ভিআইপি রাস্তার পূর্ব সাগরের মোড় পর্যন্ত সেজে উঠেছে তারাপীঠ। ফুল ও আলোকসজ্জায় ঝলমল করছে দেবীর মন্দির, গেট থেকে তোরণ সবই নতুন সাজে।

অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আজ রাত থেকেই পুরো তারাপীঠ জুড়ে নিরাপত্তার চাদর । বাঁশের ব্যারিকেডে তৈরি করা হচ্ছে দর্শনার্থীদের দীর্ঘ লাইন। সাধারণ, বিশেষ ও প্রোটোকল, তিন ধরনের লাইনে হবে দর্শন। আগামী শুক্রবার ভোর ৪টে থেকেই শুরু হবে দেবীর স্নান ও মঙ্গলারতি, এরপর খুলে দেওয়া হবে গর্ভগৃহ। সন্ধ্যায় রাজবেশে দেবীকে সাজানো হবে স্বর্ণালঙ্কারে।

মন্দির কমিটি জানিয়েছে, এবছর অন্তত পাঁচ লক্ষ ভক্তের সমাগম হবে। সেই কারণে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নজিরবিহীন। সারাবছর যেখানে ১০০ জন নিরাপত্তাকর্মী থাকেন, সেখানে কৌশিকী অমাবস্যায় সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩০০। পাশাপাশি, ২৭০০ পুলিশ মোতায়েন থাকবেন মন্দির চত্বর ও আশপাশের এলাকায়। নজরদারিতে থাকবে ১০টি ওয়াচ টাওয়ার, ৩৭টি ড্রপগেট, ড্রোন ক্যামেরা ও জায়ান্ট স্ক্রিন।

পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে থাকছে মেডিক্যাল ক্যাম্প, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা এবং ২১টি পুলিশ সাহায্য বুথ। পুলিশের পক্ষ থেকে শিশুদের অভিভাবকদের নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর কাগজে লিখে পকেটে রাখার আবেদনও জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা কার্যকর হবে।
কথিত আছে, দেবী তারার অপর নামই কৌশিকী। শুম্ভ-নিশুম্ভকে বধ করতে দেবী নিজ দেহকোষ থেকে কৌশিকী রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন। আবার, এই তিথিতেই তারাপীঠ মহাশ্মশানে বামাক্ষ্যাপা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। সেই কারণেই প্রতিবছর বিশেষ তিথিতে লাখো ভক্ত পুণ্যলাভের আশায় আসেন তারাপীঠে।