দেশের সময়: সিদ্দারামাইয়া নাকি ডি কে শিবকুমার। কর্ণাটকে মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে বসতে চলেছেন কে? এনিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। বিষয়টির নিষ্পত্তি করা যে মোটেই সহজ কাজ নয়, সেটা ভালভাবেই টের পাচ্ছে কংগ্রেসের হাই কমান্ড। আর সেকারণে ম্যারাথন বৈঠকের পরও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করতে সময় নিতে হচ্ছে তাদের।
এরই মধ্যে আজ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলের নব নির্বাচিত বিধায়ক, দলের সাংসদ, বিধান পরিষদের সদস্যদের জরুরি বৈঠকে ডেকেছেন কর্ণাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার। মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণার আগে তড়িঘড়ি সবাইকে এভাবে বৈঠকে ডাকা কেন, তা নিয়ে জোর জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
প্রত্যেকেরই নজর এখন সন্ধ্যার ওই বৈঠকেই। সেখানে কী বার্তা দেন শিবকুমার, সেটা জানতেই কংগ্রেস কর্মীদের পাশাপাশি মুখিয়ে রয়েছেন অন্য দলের নেতানেত্রীরাও। সূত্রের খবর, বেঙ্গালুরুর কুইন্স রোডে প্রদেশ কংগ্রেস কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে ওই বৈঠক। এর আগে বুধবার কর্ণাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি’র সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা জানিয়েছিলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে। তা হলে কি সন্ধ্যার ওই বৈঠকেই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করবেন শিবকুমার? তাই যদি হয়, তা হলে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শিবকুমার নিজেই কি নিজের নাম ঘোষণা করবেন?
এমনটা হওয়ার সাধারণভাবে হওয়ার কথা নয়। সেক্ষেত্রে সিদ্দারামাইয়ার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন কংগ্রেস কর্মীরা। সেক্ষেত্রে সিদ্দারামাইয়া মুখ্যমন্ত্রী হলে শিবকুমার উপ মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। কারণ, রাজস্থানের অভিজ্ঞতা মাথায় রয়েছে কংগ্রেসের। সেখানে শচিন পাইলট সরকারে গুরুত্ব পাননি বলে অভিযোগ তুলে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। আবার ছত্তিশগড়ে ভূপেশ বাঘেলকে মুখ্যমন্ত্রী করে টিএস সিংদেওকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হয়। তাঁকে আড়াই বছর পর মুখ্যমন্ত্রী করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখন গদি ছাড়তে রাজি হয়নি বাঘেল। কর্ণাটকে যাতে এমন পরিস্থিতি না তৈরি হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কংগ্রেস হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নেবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।