সনাতন ধর্মমতে কালী বা কালিকা হলেন শক্তির দেবী। মা কালী অশুভ শক্তির বিনাশ সাধন করেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ভয়ংকরের পুজো করেন। কালীকে এই সংহারী রূপের পরেও আমরা মাতা সম্বোধন করে পুজো- পাঠ করি। কারণ সনাতন ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী তিনি সন্তানের মঙ্গল চান, তিনি মঙ্গলময়ী ও কল্যাণী।
১৬শতকের আগে কালী পূজা কার্যত অজানা ছিল; বিখ্যাত ঋষি কৃষ্ণানন্দ আগমবগীষা প্রথম কালী পূজার সূচনা করেন। ১৭ শতকের শেষের দিকের একটি ভক্তিমূলক পাঠ, কালিকা মঙ্গলকাব্য , এছাড়াও কালীকে উত্সর্গীকৃত একটি বার্ষিক উৎসবের উল্লেখ রয়েছে।অষ্টাদশ শতাব্দীতে বাংলায় নবদ্বীপের রাজা (রাজা) কৃষ্ণচন্দ্রও এই পূজার ব্যাপক প্রসার ঘটান। দেখুন ভিডিও
কালী পূজা ১৯ শতকে জনপ্রিয়তা লাভ করে, যখন কালী সাধক শ্রী রামকৃষ্ণ বাঙালিদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন; ধনাঢ্য জমির মালিকরা এই উৎসবকে ব্যাপকভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে শুরু করে। বার্ষিক কালী পূজা উদযাপন, যা দীপান্বিতা কালী পূজা নামেও পরিচিত, কার্তিকা মাসের অমাবস্যার দিনে পালিত হয় , অন্যান্য অমাবস্যার দিনেও কালীর পূজা করা হয়।মূলত ফল,ফুল এবং বিভিন্ন ধরণের মিষ্টি দিয়েই মায়ের ভোগ নিবেদন করা হয়।
কালী পূজা মানেই আলোর উত্সব আর এই আলোর উৎসবে সবাই মেতে ওঠে শক্তির দেবীর আরাধনায়।
ত্যামনি বনগাঁ, চাপাবেড়িয়া রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশনে, দীপান্বিতা কালীপুজোর দিন, শ্যামা মায়ের আরাধনায় মেতে উঠল, মিশন সহ এলাকা বাসীরা ৷
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিল বনগাঁ রামকৃষ্ণ মিশনের স্কুল শ্রী রামকৃষ্ণ অ্যাকাডেমির ছাত্র ছাত্রীরা। তারা তাদের গানের মাধ্যমে মায়ের আরাধনা যেনো আরও মনোমুগ্ধকর করে তুলে ছিল। মায়ের পূজা,ভোগ নিবেদন, আরতির পর চললো প্রসাদ বিতরণ