অর্পিতাবনিক, বনগাঁ: কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতির মুখে পড়লেন বোরো চাষিরা। গত বৃহস্পতিবার দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলা বৃষ্টি হয়। এদিকে এখনও অধিকাংশ চাষি তাঁদের মাঠের ধান কেটে ঘরে তুলতে পারেননি। আবার অনেকে ধান কেটে জমিতে ফেলে রেখেছেন। ওই সমস্ত ধান পুরোপুরি নষ্ট হবে বলে মনে করছেন চাষিরা।
পাশাপাশি অতিরিক্ত টাকা দিয়েও সে ভাবে শ্রমিক মিলছে না। এই পরিস্থিতিতে হার্ভেস্টার মেশিন নামিয়ে ধান কাটার কথা বলেছিল কৃষি বিভাগ। কিন্তু বৃষ্টি হওয়ায় ভিজে মাটিতে মেশিন নামাতেও সমস্যায় পড়ছেন বলে জানানচ্ছেন চাষিরা ৷ এই পরিস্থিতিতে ফের ঝড়-বৃষ্টি হলে ধানগাছ আরও নুইয়ে পড়বে। এতে ফসল নষ্টের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। আবার অনেকের জমিতে ধান কাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে জল পেয়ে ধান থেকে অঙ্কুর বেরিয়ে যাবে বলে জানাচ্ছেন চাষিরা। দেখুন ভিডিও
শুধু ধান নয়, সব্জি চাষেও ব্যাপক ক্ষতির কথা জানিয়েছেন ছয়ঘড়িয়ার বহু চাষি । বনগাঁর ছয়ঘড়িয়া পঞ্চায়েত প্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষ জানান, ‘ধানের রং নষ্ট হয়ে যাবে। কিছু ধানের কল বেরিয়ে যাবে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাঁদের ফসল বিমা করা আছে তাঁদেরকে সরাসরি বিমা কোম্পানির কাছে আবেদন করার কথা বলা হয়েছে।’
এদিনের ঝড়ের দাপটে অনেক জায়গায় গাছ উপড়ে রাস্তার উপর পড়ে। কালুপুর পঞ্চায়েত এলাকায় গাছ ভেঙে পড়ে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপড়ে ৷ বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী৷ যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কার করা হয়েছে। এদিন গোটা রাজ্যে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৭ জনের। তার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুর-২ পঞ্চায়েত এলাকায় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে মিলন বিশ্বাস ও ধীরাজ শর্মা নামে ২ জনের ।
প্রকৃতির এই হঠাৎ পরিবর্তনে ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তি মিলেছে রাজ্যের মানুষের। কিন্তু আচমকা বাজে প্রাণ কেড়ে নিল অনেকেরই।