Jyotipriya Mallick জামিনে মুক্তি পেয়েই বিধানসভায় হাজির  বালু! তাঁর ছবি তুলতে আপত্তি

0
14

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ: রেশন দুর্নীতি মামলায় ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অবশেষে গত বুধবার প্রায় ১ বছর ৩ মাস পর জেল হেফাজত থেকে জামিন পান প্রাক্তন খাদ্য ও বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গত বুধবার জেল থেকে মুক্তি পেয়েই, আজ অর্থাৎ সোমবার বিধানসভায় হাজির হলেন বালু।

গত বুধবার জামিন পেয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। জেল হেফাজতে থাকা অবস্থায় বেশ কয়েকবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সোমবার প্রথম দর্শনে যেন তাঁকে চেনা মুশকিল। এমনিতেই তাঁর ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে। জেলে বছর খানেক থাকার পর শরীর অনেকটাই ভেঙে গেছে। তাঁর ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, ৭৮ কেজি থেকে ওজন কমে হয়েছে ৫৪।

তবে এদিন বিধানসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে অস্বস্তি বোধ করেন বালু। তাঁর ছবি তুলতে আপত্তি জানান।কারণ এখনও পর্যন্ত তাঁর মামলা বিচারাধীন তাই এই মামলা নিয়ে কথা বলতে চান নি তিনি। তবে কী কারণে জামিনের এক সপ্তাহের মাথায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক উপস্থিত হলেন বিধানসভায়?

বালু ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, ১ বছর ৩ মাসের বকেয়া বেতন তুলতে বিধানসভায় আজ উপস্থিত হন তিনি। জানা যাচ্ছে, এই ব্যাপারে কিছু সই সাবুদ করতে হবে তাঁকে। বকেয়া বেতন তুলতে তাই কোনভাবে সময় নষ্ট না করে আদালতে উপস্থিত হলেন বালু।

বিধানসভায় সরকারি দলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ। উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলার রাজনীতিতে নির্মল ঘোষ ওরফে নান্টু ঘোষ দীর্ঘদিন দিন ধরে জ্যোতিপ্রিয়র বন্ধু। সূত্রের খবর, বালু জামিন পাওয়ার পর গত কদিনে তাঁর সল্টলেকের বাসভবনে যাঁরা দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে নির্মল ঘোষ ছিলেন অন্যতম। এছাড়াও ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক ও হাবড়া বিধানসভা এলাকার স্থানীয় নেতারা গিয়ে বালুর সঙ্গে দেখা করেছেন ও তাঁর শরীর স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন। সম্ভবত নির্মল ঘোষের পরামর্শে বালু এদিন বিধানসভায় পৌঁছন।

এদিন বিধানসভায় পৌঁছেও জ্যোতিপ্রিয় প্রথমে নির্মল ঘোষের কক্ষে গিয়ে বসেন। সেখানে চা বিস্কুটের সঙ্গে অনেক দিন পর খানিক আড্ডা হয়। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে এদিন ফের ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। কারণ, তাঁর কিডনিতেও সমস্যা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

গ্রেফতার হওয়ার সময়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী। সেই সুবাদে বিধানসভায় তাঁর একটি ঘরও রয়েছে। তবে জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতারের পর থেকে সেই ঘরে তালা লাগিয়ে রেখেছে বিধানসভা কর্তৃপক্ষ। ঠিক যেমন বিধানসভায় মন্ত্রী হিসাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে ঘরে বসতেন সেই ঘরে তালা লাগানো রয়েছে।

জ্যোতিপ্রিয় এখন মন্ত্রী নন। তাই বিধানসভায় সেই ঘরে গিয়ে বসার তাঁর অধিকার নেই। তবে এখনও তিনি হাবড়ার বিধায়ক। তাই হতে পারে ফেব্রুয়ারি মাসে বিধানসভার আসন্ন বাজেট অধিবেশনে তিনি পুরোদস্তুর সভায় যোগ দেবেন।

বাংলায় তৃণমূল সরকার গঠনের সময় থেকে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় প্রভাবশালী নেতা ছিলেন বালু মল্লিক। একে খাদ্য মন্ত্রী, সেই সঙ্গে আবার জেলা সভাপতি। কিন্তু একুশ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয় মেয়াদে তাঁর ক্ষমতা কিছুটা খর্ব করা হয়। জেলায় একচ্ছত্র আধিপত্য তাঁর আর ছিল না। দফতরের ওজনও কমে যায়। খাদ্য দফতর থেকে পাঠানো হয় বন দফতরে। এদিন জ্যোতিপ্রিয়র অ্যাপিয়ারেন্সে পরিষ্কার যে কাম ব্যাকের চেষ্টায় রয়েছেন তিনি। সোমবার বিধানসভায় তাঁর ইঙ্গিত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Previous articleRG Kar VerdictRG Kar Verdict:ফাঁসি নয়! আরজি করের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিলেন বিচারক
Next articlePartha Chatterjee জামিন পেয়ে গেলেন পার্থ, শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here