দেশের সময়:চায়ের সাম্রাজ্যের নয়া পালক জুট টি। কৃষি বিজ্ঞানীদের দাবি, পাট পাতা থেকে তৈরি ভেষজ চা রুখে দিতে পারে ক্যান্সার। এমনকী পাট পাতার চা সুগার, কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সহায়ক। বেশ কয়েক বছর আগে পাট পাতা থেকে চা তৈরি করে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই চায তারা বিদেশে রপ্তানিও করছিল। বাংলাদেশের কাছ থেকে পাট পাতার চা কিনছিল জার্মানি। এবার পাট পাতা থেকে চা তৈরি শুরু হল আমাদের রাজ্যেও।
কী রয়েছে পাট পাতায়?
যা থেকে আমাদের সুস্থ জীবনের হদিশ মিলতে পারে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, পাট পাতায় রয়েছে প্রচুর মিনারেল, ভিটামিন, প্রোটিন, ফসফরাস, ফ্যাট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন এ, সি এবং ই। পাট পাতায় পাওয়া যায়, রাইবোফ্লাভেন, নিয়াসিন এমনকী ফোলেট। পাট পাতায় থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ফলে ঝুঁকি কমে হার্টের অসুখের। ওমেগা থ্রি প্রদাহ কমায়। হাঁপানি ও ফুসফুসের প্রদাহ কমাতে সহায়ক হতে পারে পাট পাতার চা। এই চা নিয়মিত পান করলে মসৃণ থাকবে ত্বক। বাড়বে ঔজ্জ্বল্য।
পাট পাতায় থাকা ভিটামিন এ এবং ই শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে দেবে না। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় কমবে ক্যান্সারের ঝুঁকি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পাট পাতা বিটা ক্যারোটিনের একটি ভালো উৎস। এ কারণে এটি আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বহু শতাব্দী ধরেই আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে পাট পাতা ব্যবহার হয়ে আসছে।
পাট পাতায় থাকা আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড রয়েছে যা ইপিএ এবং ডিএইচএতে রূপান্তরিত হয়। ইপিএ এবং ডিএইচএ আমাদের স্নায়ুর রেটিনাল এবং ইমিউন ফাংশন সহ ভ্রূণের সঠিক বিকাশের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ডিএইচএ কার্ডিও ভাস্কুলার ফাংশনের অনেক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। যার মধ্যে প্রদাহ, পেরিফেরাল ধমনীর রোগ প্রতিরোধ করোনারি ধমনীর কাজের নিয়ন্ত্রণ এবং অ্যান্টি কোয়াগুলেশন প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।