দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বুধবারই ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে ৪৬তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার। এদিন কলকাতার এক হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন গিল্ডের সভাপতি সুধাংশু দে এবং সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়।
২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি থেকে করুণাময়ীর সেন্ট্রাল পার্কে বইমেলা প্রাঙ্গণে শুরু হচ্ছে কলকাতা বইমেলা। চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ৪৬ তম বর্ষে প্রথমবার নিজেদের নামাঙ্কিত জায়গায় বইমেলা আয়োজিত হচ্ছে। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়।
ত্রিদিববাবু জানান, ২০২২ সালে কলকাতা বইমেলায় বই বিক্রি হয়েছিল ২৩ কোটি টাকার যা বইমেলার ইতিহাসে রেকর্ড বিক্রি। এবারে বইমেলার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় বারের জন্য এবারে বইমেলার থিম কান্ট্রি হচ্ছে স্পেন। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভারতে স্পেনের রাষ্ট্রদূত জোসে মারিয়া রিডাও ডমিংগেজ। এর আগে ২০০৬ সালে থিম কান্ট্রি হয়েছিল স্পেন। সেবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি মউ স্বাক্ষর হয়েছিল স্পেনের।
স্পেনের রাষ্ট্রদূত জানান, থিম কান্ট্রি হিসেবে এবার কলকাতা বইমেলায় স্পেনের একটি বিশেষ প্যাভিলিয়ন তৈরি করা হবে। কিন্তু এটি তৈরি হবে সম্পূর্ন ভারতীয় উপকরণ দিয়ে। ত্রিদিববাবু জানান, আগের বার বইমেলায় ৫৭০ টি স্টল ছিল।
জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্টলের সংখ্যাও এবারে বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। গতবারের মত এবারও কলকাতা বইমেলার ডিজিটাল পার্টনার সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি। বইমেলার মাধ্যমে ভারত এবং স্পেনের সংস্কৃতির মেলবন্ধন অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছেন বইমেলা কর্তৃপক্ষ এবং স্পেনের রাষ্ট্রদূত।
এক বছর আগে নাম রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার সেই নতুন নাম-পাওয়া পুরনো ঠিকানাতেই বসছে বইমেলার আসর। গত বছর বইমেলার উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, এটাই বইমেলার নতুন ঠিকানা। তিনি সেন্ট্রাল পার্কের নামকরণ করেছিলেন ‘বইমেলা প্রাঙ্গন’। কলকাতা বইমেলা পেয়েছিল তার প্রথম স্থায়ী ঠিকানা।
গত কয়েক বছরের মতো সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কেই হতে চলছে এবারের বইমেলা। দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে প্রতিদিন। করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে পাওয়া যাবে বাস পরিষেবা।
জানা গেছে, বইমেলায় কয়েকশো বই ও লিটল ম্যাগাজিনের স্টল থাকবে বিস্তর জায়গা জুড়ে। শুধু বইয়ের সম্ভার নয়, থাকবে খাওয়াদাওয়া, আড্ডা মারা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিভিন্ন খাবারের স্টল আছে এই বইমেলায়। ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে পড়লেন ইচ্ছে মতো খাবার খেয়ে নিতে পারেন তার জন্য আছে ফুড কোর্ট। প্রায় প্রতিদিনও কোনও না কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে মুক্ত মঞ্চে।বুধবার শহরে সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়ে দেওয়া হল আগামী বছর বইমেলা শুরু হবে ৩০ জানুয়ারি। চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।