পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে শপথগ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তারপরই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মহম্মদ ইউনুসকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
টুইটবার্তায় বাংলাদেশের নবগঠিত সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনুসের উদ্দেশে মোদী লিখেছেন, আশা করি, খুব শীঘ্রই বাংলাদেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে। হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তাও সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।
অতীতের মতো ভারত যে সবসসময় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে বদ্ধ পরিকর টুইটে সেকথাও জানিয়েছেন মোদী।
https://x.com/narendramodi/status/1821574094195769549?t=qxfAP_8zy0HDlOs7_9yZkQ&s=19
ভারতের প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, দুই দেশের জনগণের শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের যে অভিন্ন আকাঙ্ক্ষা, তা পূরণে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে ভারত সবসময় অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, কোটা বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত কয়েকমাস ধরেই হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশে। যার নিট ফল, গত সোমবার দুপুরে হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন।
তারপরই আন্দোলনকারীরা জরুরি ভিত্তিতে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, হাসিনার পদত্যাগ তাদের জয়যাত্রার একটি ধাপ। চূড়ান্ত বিজয় সম্ভব হবে দেশের শাসন ব্যবস্থার সংস্কারের মধ্য দিয়ে। তার জন্য উপযুক্ত মানুষের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর জরুরি।
এরপরই আলোচনায় বেশ কয়েকটি নাম উঠে এলেও প্রথম থেকেই এগিয়ে ছিলেন ইউনুস।
আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে মঙ্গলবার দুপুরেই সংসদ ভেঙে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। সন্ধেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। সেখানেই সর্বসম্মতিক্রমে ইউনুসের নাম অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে গৃহীত হয়।
এদিন সন্ধেই বঙ্গভবনের অনুষ্ঠানে ইউনুসকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি সাহাবুুদ্দিন। বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় শুরু হয়ে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। ইউনুসের পাশাপাশি বাকি উপদেষ্টাদেরও শপথবাক্য পাঠ করানো হয়। এখন দেখার বাংলাদেশের অশান্তি থামে কি না।