অর্পিতা বনিক, বনগাঁ: রাত পেরোলেই আরও একটি স্বাধীনতা দিবসের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে দেশ। প্রতি বছরই এই সময়ে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায় অন্যান্য সময়ের চেয়ে। ফলে, নির্বিঘ্নে স্বাধীনতা দিবস পালন করতে কোনও রকম ত্রুটি রাখা হয় না কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।
চলতি বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। ইতিমধ্যেই স্বাধীনতা দিবসের প্রস্তুতি পর্ব একেবারে তুঙ্গে দিল্লি থেকে শুরু করে সীমান্ত শহর বনগাঁয় ৷
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোল সীমান্তকেও ৷
এখানেই শেষ নয়, পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে নাশকতা এড়াতে রবিবার রাত থেকেই ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে এলাকায়। স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য সীমান্তের বিএসএফ জওয়ানেরাও প্রস্তুত ৷ দেখুন ভিডিও
পাশাপাশি স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকাকে সম্মান জানাতে পুরোদস্তুর তৈরী বনগাঁর সাধারণ মানুষেরাও শহরের পাড়ায় পাড়ায় চলছে কবিতা, গান ও নৃত্যের তালিম৷ বনগাঁ পুরসভার উদ্যোগে নীলদর্পনের সামনে মনীষাঙ্গনে প্রস্তুত মঞ্চ৷
ক্ষুদিরাম বসু সম্পর্কে হেমচন্দ্র কানুনগো লিখেছেন, ক্ষুদিরামের সহজ প্রবৃত্তি ছিল মৃত্যুর আশঙ্কা তুচ্ছ করে দুঃসাধ্য কাজ করা। তাঁর স্বভাবে নেশার মতো অত্যন্ত প্রবল ছিল সাহস। সত্যিই তাই। এই সাহসের জোরেই তিনি ভয়ঙ্কর সব কাজ অবলীলায় করতেন। ২০২৩ এর স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের আগেই তাঁকে শ্রোদ্ধা জানাতে সোমবার সন্ধ্যায় বনগাঁ পুরসভার উদ্যোগে ১৫ নং ওয়ার্ডে ক্ষুদিরাম বসুর মূর্তি স্থাপিত হল মহাসমারোহে ৷