

বনগাঁ :দূর থেকে দেখলে চোখের সামনে ভেসে ওঠে সবুজ মাঠ যেন আঁকাবাঁকা পথ ধরে এগিয়ে গেছে বহু দূর! কচুরিপানায় ভরা ইছামতি নদী এমনই চেহারা নিয়েছে৷ বনগাঁয় সে নাব্যতা হারিয়েছে বহুদিন আগেই৷৷ মৃতপ্রায় নদী বয়ে চলেছে শহরের বুক চিরে ।

শেষ কবে জোয়ার-ভাটা খেলে ছিল তা নদী পাড়ের মানুষ ভুলতে বসেছেন ৷ বছরের বেশিরভাগ সময়ই নদী কচুরিপানায় ভরা থাকে৷ বনগাঁয় ইছামতি নদীতে কচুরিপানার সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে পদক্ষেপ করল বনগাঁ পৌরসভা৷

পুরসভা সূত্রে জানা গেছে,নদীর কচুরিপানা মুক্ত করতে স্থায়ী পদক্ষেপ করা হচ্ছে৷ ৯১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি বিশেষ আধুনিক যন্ত্র কেনার প্রস্তুতি চলছে তবে তার আগেই ৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি বিশেষ যন্ত্র দিয়ে কচুরিপানা কোটে নদী পরিষ্কার করার কাজ শুরু করা হয়েছে প্রায় দু মাস ধরে । দেখুন ভিডিও

স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, এটা শুধু বিভূতি ভূষণের ইছামতি ছিল না,যে তার অবর্তমানে এই নদী শুধু বই-এর পাতায় নাম আর ছবিতে থেকে যাবে৷ এটা আমাদেরও নদী তাকে বাঁচাতে হবে৷ গোপাল বাবুর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই৷ ইছামতি বাঁচলে এই শহর শুধু নয় এই নদীর রেখার দু’পাড়ের অসংখ্য গ্রামের মানুষও নতুন জীবন ফিরে পাবেন৷ জেলেরা ফের মাছের সন্ধ্যানে নৌকা ভাসাবেন৷ যুবক – যুবতীরা সাঁতারে ফের দেশ-বিদেশ থেকে পুরষ্কার পাওয়ার লক্ষ্যে স্বপ্ন দেখবে৷ এক কথায় ইছামতি সংস্কার হলে সবুজ ফিরবে।

চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ বলেন,ইছামতী আন্তর্জাতিক নদী। বনগাঁর বড় সমস্যা হল ইছামতীর ভাসমান কচুরিপানা। এর সংস্কারের দায়িত্ব কেন্দ্রের। অথচ কেন্দ্রের বঞ্চনার জন্যই সংস্কার হচ্ছে না ইছামতী। ফলে প্রতি বছর বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।পুরসভা নিজের উদ্যোগে কচুরিপানা কাটার মেশিন তৈরি করেছে। কাজও শুরু হয়েছে। এ ভাবে প্রতিদিন কচুরিপানা কেটে পরিষ্কার করলে ইছামতী অনেকটাই পরিষ্কার হবে। প্রায় দু মাস ধরে কচুরিপানা পরিষ্কার করা হয়েছে বনগাঁ শশ্মান ঘাট থেকে আপনজন মাঠ পর্যন্ত ৪.৫ কিলোমিটার’ ।

ইছামতি নদী বনগাঁর মানুষের প্রাণ। আর সেই ইচ্ছামতীর সার্বিক সংস্কারের ভাবনা নিয়েছিলেন পুরপ্রধান গোপাল শেঠ।




