সায়নী সাহা, বনগাঁ: নদীমাতৃক দেশ আমাদের নদীকে কেন্দ্র করে যেন যা কিছু গড়ে উঠেছে এই দেশে । তাই নদীকে উপেক্ষা করে কোন কাজেই হয়তো করা সম্ভব না। কিন্তু অতীতের মতো নদী তার নিজস্ব তে বয়ে চলে না। এরকমই এক জরা ছিন্ন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ মহকুমার ইছামতী নদীর। পলি জমে নদী তার গতিপথ হারিয়েছে। নদী যেন আগের মতন আর জোয়ার ভাটা খেলে না। এই ইছামতি নদী তার নব্যতা হারিয়ে বহুদিন আগেই মৃতপ্রায় হয়ে উঠেছে।
নদীর এই করুন প্রস্তুতির ফলে বর্ষা আসলেই এলাকাবাসীকে জলমগ্ন পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। অতীতে বৃষ্টির জল জমা হয়ে বের হতো। ওই ইছামতী নদীর মধ্য দিয়ে একসময় জল নিকাশি ব্যবস্থা প্রধান কেন্দ্র ছিল এই ইছামতি নদী। এখন আর নদীর জল ধারণ ক্ষমতা নেই নদীতে জল বয়ে চলার পরিবর্তে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে জল উপচে পড়ে লোকালয় প্রবেশ করে নদী পাড়ের বাসিন্দারা এক সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন। দেখুন ভিডিও :
স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায় ভারত এবং বাংলাদেশ মিলিয়ে ২৮৪ কিলোমিটারের দীর্ঘ ছিল এই ইছামতি নদী। মাজতিয়ার মাথাভাঙ্গা নদী ছিল এই ইছামতি নদীর মূল উৎস। তবে এই নদী সংস্করণের বিষয় নিয়ে যেরকম নানা লোকের নানা মত রয়েছে ঠিক তেমনি রাজনৈতিক স্তরে রয়েছে নানান তর্ক বিতর্ক।
নদী সংস্কারের দাবি নিয়ে এলাকাবাসী বহু সময় বহু কথা বলল প্রকৃত অর্থে তাদের সেই নদী সংস্করণ হয়ে ওঠেনি। তবে হাল ছাড়তে নারাজ বেশ কিছু বনগার তরুণ-তরুণীরা, যাদের মধ্যে রয়েছেন গোরা, অর্পণ কৌশিক পর্ন সৌরভ এর মতন তরুণ তরুণীরা। স্রোত ফিরবে ইছামতির এই আশায় বাঁচেন বনগাঁ বাসি। এই নদীকে ফিরে পেতে ইছামতী শারদ উৎসব কমিটি এই দুর্গাপুজোর ব্যবস্থা করেন। এ বছর তাদের দ্বিতীয় বর্ষ পূরণ হচ্ছে।
পুজো কমিটির উদ্যোগ তারা জানিয়েছেন পুরনো ইছামতি ওদিকেই ফিরে পেতে তারা যেন মা দুর্গার আরাধনা করছে। মায়ের কাছে তাদের একটাই চাওয়া ইছামতি আবার আগের মতন হয়ে উঠুক।