দেশের সময় , হুগলি : গুড়াপে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ধর্ষণ ও খুনের মামলা দায়ের হল গুড়াপ থানায়। দেহের ময়নাতদন্ত হবে সোমবার।
নাবালিকার বাবা জানিয়েছেন, মেয়ে মাংস খাওয়ার আবদার করায় তিনি বাজারে গিয়েছিলেন। সে সময়ে পাড়াতেই খেলতে বেরিয়েছিল মেয়েটি। তার পর বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও সে বাড়ি ফেরেনি দেখে খোঁজ শুরু করেন বাবা। পাড়া-প্রতিবেশীরাও খুঁজতে বের হন তাকে। বাবার অভিযোগ, কিছুটা দূরে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে মেয়েকে খুঁজতে গিয়ে খানিক সন্দেহ হয় তাঁদের। কিছুতেই ওই ব্যক্তি তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছিলেন না। ঠেলে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় তাঁদের। জোর করে ভিতরে ঢুকতেই দেখা যায় প্রতিবেশীর বাড়ির খাটে মশারি এবং কম্বল চাপা দেওয়া অবস্থায় নাবালিকাকে পড়ে রয়েছে। তার শরীর থেকে রক্তক্ষরণও হচ্ছিল।
রক্তাক্ত অবস্থায় ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ধনিয়াখালি হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর বাবাই। সেখানে চিকিৎসকরা ওই নাবালিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পৌঁছয় গুড়াপ থানায়। এলাকায় থাকা টহলদারি ভ্যান ততক্ষণে ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছে।মেয়ের উপর পাশবিক অত্যাচারে দোষীর ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন বাবা। গোটা ঘটনা পুলিশকে জানান নির্যাতিতার বাবা।
অভিযোগ দায়ের হয় গুড়াপ থানায়। যার ভিত্তিতে ওই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। ঘটনাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে তদন্তভার যায় ধনিয়াখালির সার্কেল ইন্সপেক্টরের কাঁধে। নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার পাঠানো হবে চুঁচুড়া জেলা হাসপাতালে।
অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে গুড়াপ থানার পুলিশ। সোমবার তাকে তোলা হবে চুঁচুড়া সদর আদালতে।
ঘটনাস্থলে রবিবার যান হুগলি জেলা পুলিশ সুপার ও অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকরা। তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে ও নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে। তারপরই ঘটনার তদন্তে হুগলি জেলার অভিজ্ঞ অফিসারদের নিয়ে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গড়ার নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার।
স্থানীয় এক ব্যক্তি এই নিয়ে বলেন, ‘৪৫ বছর বয়স অভিযুক্তের, দুটো বিয়ে হয়েছিল আগে। এখানে সবসময় থাকে না। বৈঁচিতে শ্বশুরবাড়ি। সেখানে যায় মাঝে মধ্যে। চুরি করার স্বভাব রয়েছে। একটি ছেলেও রয়েছে। কিন্তু সম্পর্ক রাখে না বাবার সঙ্গে সেভাবে।’