History of Mahalayaমহালয়ার অর্থ কী? এবছর মহালয়ায় অমাবস্যার তিথি থাকবে কতক্ষণ? কীভাবে করবেন তর্পণ জানুন

0
338

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ পিতৃপক্ষ শেষ হয়ে দেবীপক্ষের শুরুর দিনটি হল মহালয়া। এ দিন অনেকেই গঙ্গাস্নান সেরে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে পিণ্ডদান করে তর্পণ করেন। ‘মহালয়া’ কথাটির অর্থ মহৎ আলয়। একটি মত বলে, এর অর্থ প্রেতের আলয়। শাস্ত্র মতে এ দিন প্রয়াত আত্মারা মর্তে আসেন বলে মনে করা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্ধকার পেরিয়ে দেবীপক্ষের শুভ সূচনা হয় বলে শব্দটিকে স্ত্রীলিঙ্গ করে ‘মহালয়া’ বলা হয়।
এই দিনটিকে ঘিরে নানা পৌরাণিক কাহিনি থাকলেও মহাভারতের সঙ্গে মহালয়ার নিবিড় যোগ রয়েছে।

মহাকাব্য অনুসারে, মহাভারতের যুদ্ধে মৃত্যুর পরে স্বর্গে কর্ণকে খাদ্য হিসেবে স্বর্ণ ও ধনরত্ন দেওয়া হয়েছিল। কর্ণ তখন দেবরাজ ইন্দ্রকে প্রশ্ন করেন যে, কেন তাঁকে খাদ্যের বদলে এ সব দেওয়া হয়েছে। ইন্দ্র জানান, কর্ণ চিরকাল ধনরত্ন ও স্বর্ণ দান করে এসেছেন, কিন্তু পূর্বপুরুষদের কখনও জল,খাদ্য দেননি। তাই তাঁকেও খাদ্যের বদলে এ সবই দেওয়া হয়েছে।

কর্ণ জানান, তিনি তাঁর পুর্বপুরুষদের বিষয়ে অবগত ছিলেন না। সে কারণেই তাঁকে আবার ১৫ দিনের জন্য মর্ত্যে পাঠানো হয়। ফিরে এসে কর্ণ পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে পিণ্ডদান করেন। সেই থেকেই নাকি এই বিশেষ দিনে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে জল দেওয়ার এই রীতি।

মহালয়া অমাবস্যার গুরুত্ব: মহালয়া অমাবস্যাকে পূর্বপুরুষদের তর্পণ ও শ্রাদ্ধ করার জন্য অত্যন্ত বিশেষ বলে মনে করা হয়। মহালয়া অমাবস্যা সর্ব পিতৃ অমাবস্যা নামেও পরিচিত। এ বছর মহালয়া অমাবস্যা ২ অক্টোবর বুধবার। পিতৃপক্ষে পড়া মহালয়া অমাবস্যা পিতৃদোষ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যও পরিচিত। মহালয়া অমাবস্যায় পূর্বপুরুষদের শ্রাদ্ধ করা শুধুমাত্র তাদের আত্মাকে মুক্তি দেয় না বরং তর্পণকারী ব্যক্তির পুণ্যকর্মও বৃদ্ধি করে। আসুন, জেনে নিই মহালয়া অমাবস্যার গুরুত্ব ও পুজো পদ্ধতি।

মহালয়া অমাবস্যা কখন: হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, মহালয়া অমাবস্যা নবরাত্রির শুরু এবং পিতৃপক্ষের সমাপ্তি চিহ্নিত করে। বৈদিক ক্যালেন্ডার অনুসারে, এটি নবরাত্রির শুরু এবং পিতৃপক্ষের সমাপ্তি চিহ্নিত করে। আশ্বিন মাসের অমাবস্যা তিথি শুরু হবে ০১ অক্টোবর, ২০২৪-এ রাত ০৯ টা ৩৮ মিনিটে। এই তিথি শেষ হবে ৩ অক্টোবর রাত ১২ টা ১৯ মিনিটে। এমন পরিস্থিতিতে সূর্যোদয়ের তিথি অনুযায়ী ০২ অক্টোবর মহালয়া অমাবস্যা পালিত হবে।

পিতৃপক্ষে পড়া অমাবস্যাকে মহালয়া অমাবস্যা, সর্বপিত্রী অমাবস্যা এবং বিসর্জনী অমাবস্যাও বলা হয়। পিতৃপক্ষের সময়, পূর্বপুরুষদের নৈবেদ্য দেওয়া হয় এবং শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করা হয় এবং তাদের আত্মার মুক্তির জন্য প্রার্থনা করা হয়। কিছু লোক মহালয়া অমাবস্যায় তাদের সমস্ত পূর্বপুরুষকে তর্পণ নিবেদন করে। পিতৃদোষ থেকে মুক্তি পেতে মহালয়া অমাবস্যায় পূর্বপুরুষের শ্রাদ্ধেরও খুব গুরুত্ব রয়েছে। পিতৃদোষ দূর করলে জীবনে উন্নতি, সুখ ও সমৃদ্ধি আসে।

মহালয়া অমাবস্যার পুজো পদ্ধতি: মহালয়া অমাবস্যায়, সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করুন। এর পরে, দক্ষিণ দিকে পিতৃপুরুষদের জল অর্পণ করুন। এরপর বাড়িতে সাত্ত্বিক খাবার তৈরি করুন, পিতৃপুরুষের নামে খাবার বের করে দক্ষিণ দিকে রাখুন। এরপর ব্রাহ্মণ, গরীব, গরু, কুকুর, কাককেও খাবার খাওয়ান। এতে পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি হয়। এর পাশাপাশি সন্ধ্যায় দক্ষিণ দিকে প্রদীপ জ্বালান।

Previous articleFashion Show মেয়েদের কোনভাবেই থামিয়ে দেওয়া সম্ভব নয় , গ্ল্যামারএক্স-এর সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় এসে বললেন গার্গী সোনকার : দেখুন ভিডিও
Next articleMamata Banerjee ‘আমার বাবা নিয়মিত চণ্ডীপাঠ করতেন , পিতৃপক্ষে পুজো উদ্বোধন করি না, ধর্ম সম্পর্কে আমার যথেষ্ট জ্ঞান আছে’, শ্রীভূমিতে বললেন মমতা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here