দেশের সময় কলকাতা: জগদীপ ধনকড়ের পর স্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে বুধবার পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নিলেন সিভি আনন্দ বোস।

বুধবার সকালে রাজভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ছবি তুলেছেন – ধ্রুব হালদার ৷

বুধবার সকালে রাজভবনে শপথ গ্রহণ করেন তিনি। তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী, তাঁর স্ত্রী এবং রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রীরাও।

তার আগে রাজ্যের নয়া ফার্স্ট সিটিজেনকে বিশেষ উপহার পাঠান তিনি। সি ভি আনন্দ বোসের জন্য নীল হাঁড়িতে রসোগোল্লা পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। হাঁড়িতে ছিল ১০০টি রসোগোল্লা। রাজভবনে সকাল ১০টা নাগাদ পৌঁছায় মমতার সেই উপহার।

উল্লেখ্য, কর্মজীবনের শুরুতে বেশ কিছু সময় কলকাতায় কাটিয়েছিলেন সি ভি আনন্দ বোস। কেরালার বাসিন্দা একসময় এ শহরের একটি ব্যাঙ্কে কর্মরত ছিলেন। সেই সময় শহরের একটি দোকানের তৈরি বিশেষ রসোগোল্লা ছিল তাঁর অত্যন্ত প্রিয়। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সে কথাই জানিয়েছিলেন রাজ্যের নয়া ফার্স্ট সিটিজেন। আর তাই কলকাতায় সেই সময়কার স্মৃতি মনে করিয়ে দিতেই রাজ্যপালকে রসোগোল্লা পাঠিয়ে স্বাগত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৬ টাকা করে সেই রসোগোল্লা দু’টি নীল সাদা হাঁড়িয়ে রাজভবনে পাঠানো হয়। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই।

তবে এদিন দেখা যায়নি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।

শুভেন্দুর অভিযোগ, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তাঁর বসার জন্য যে জায়গা নির্ধারিত করা হয়েছে, তাতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁর অমর্যাদা করা হয়েছে। তাঁর কথায়, “বিরোধী দলনেতার বসার আসন নির্দিষ্ট করা হয়েছে কৃষ্ণ কল্যাণী ও বিশ্বজিৎ দাসের পাশে। এই দু’জনই দলত্যাগী বিধায়ক। তাঁদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে মামলা চলছে। আগামী দিনে তাঁরা বিধায়ক থাকবেন কিনা সংশয় রয়েছে।”

বিরোধী দলনেতার এও অভিযোগ, তাঁকে রাজনৈতিকভাবে খাটো দেখানোর জন্যই তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর এই ‘অভব্য’ ঘটনা ঘটিয়েছে। এটা প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নয়। এতে সরকারের মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে। শপথ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার কারণ সবিস্তারে জানাতে এদিন টুইট করেছেন শুভেন্দু। সেই সঙ্গে ফেসবুকেও দীর্ঘ পোস্ট করেছেন। পরে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান যে, নতুন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি পৃথক ভাবে সময় চেয়েছেন।

ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। অসৌজন্যতার অভিযোগ জানিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ।

বুধবার আনন্দের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিশিষ্টদের বসার বন্দোবস্তে প্রথম সারির প্রথমেই ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসন। তাঁর ডান পাশে যথাক্রমে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। প্রথম সারিতে জায়গা পেয়েছিলেন তৃণমূলের তিন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মালা রায় এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here