

গণেশ চতুর্থীতে ১০ দিনের টানা এক উৎসব। গণেশ চতুর্থী নিয়ে উদ্বেল গোটা ভারত। তবে, বিশেষ করে পশ্চিম ভারতে গণেশপুজো খুবই আড়ম্বরের সঙ্গে উদযাপিত হয়।
গণেশপুজোর শুভ মুহূর্ত পড়ছে ২৭ অগাস্ট ১১টা ০৫ মিনিট থেকে ১টা ৪০ মিনিটের মধ্যে। মানে, ২ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট। তবে কলকাতায় গণেশ চতুর্থীর শুভ মুহূর্ত শুরু হচ্ছে সকাল ১০টা ২২ মিনিটে, শেষ হচ্ছে বেলা ১২টা ৫৪ মিনিটে।

রাত পোহালেই গণেশ পুজো। পুজো মানেই আকাশছোঁয়া দাম ফুলের। বিশেষ করে গাঁদা, শিউলি, বেলপাতা, শাপলা, জুঁই-সবই পুজোর আবশ্যিক উপকরণ। দাম বাড়ার কারণে অনেকে আগেভাগেই কিনে রাখেন। রোদেলা আবহাওয়ায় সমস্যা তেমন হয় না, কিন্তু টানা বৃষ্টির জেরে বাড়িতে রাখা ফুল দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পচে যাওয়ায় পুজোর আনন্দ মাটি হয়ে যায়। এখন প্রশ্ন, কীভাবে রাখা যাবে ফুলকে একেবারে টাটকা?
মা-ঠাকুমাদের কিছু ছোট ছোট টিপস মেনে চললেই কয়েক দিন পর্যন্ত সতেজ রাখা সম্ভব যেকোনও ফুল।

বাড়িতে আনার পর প্রথমেই ফুলের ডাঁটার অংশ সামান্য ছেঁটে নিতে হবে। এতে ডাঁটা দিয়ে সহজে জল শোষিত হবে।
একটি পরিষ্কার কাঁচের বোতল বা বালতিতে জল ভরে তাতে অল্প পরিমাণ লেবুর রস অথবা এক চিমটে চিনি মিশিয়ে নিন। তাতে ডাঁটা গুলো ডুবিয়ে রেখে দিন। এতে ফুল অনেকক্ষণ টাটকা থাকবে।

যাঁরা গাঁদা বা মালতীর মতো ডাঁটাহীন ফুল কিনে রাখেন, তাঁরা খবরের কাগজে মুড়ে, এয়ারটাইট পলিথিনে রেখে পরিষ্কার ফ্রিজে রাখলে পচে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
বৃষ্টির সময় ভিজে ফুল একেবারেই বাড়িতে না আনা ভাল। ফুলে আর্দ্রতা থাকলে তা দ্রুত পচে যায়। তাই ফুল আনার সঙ্গে সঙ্গেই শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে।
বাড়ির ঘরের তাপমাত্রাও বড় ভূমিকা নেয়। ঠান্ডা ঘরে ফুল অনেকক্ষণ ভাল থাকে। তাই ফুল রাখার জায়গাটি যেন আর্দ্র ও গরম না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে এসি থাকলে বাড়িতে সেখানেই রাখুন।
ফুল ব্যবসায়ীরাও বলছেন, ‘ এবছর ভারী বৃষ্টির জেরে হাজার হাজার বিঘা ফুল চাষের জমি এখনও জলের তলায় । ফুলের যোগান নেই বললেই চলে । তাই বাজারে সেভাবে ফুল উঠছে না । আকাশ ছোঁয়া দামে ফুল বিক্রি করতে হচ্ছে বাধ্য হয়ে। বৃষ্টির সময় ফুলের দাম তো বাড়েই, উপরন্তু ফুল টাটকা রাখাও কঠিন হয়। অনেকেই আমাদের কাছ থেকে পরামর্শ চান। আমরা বলি, কাগজে মুড়ে ঠান্ডা জায়গায় রাখুন।’