কলকাতা:৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হলো দক্ষিণ কলকাতার জি.ডি. বিড়লা সেন্টার ফর এডুকেশন- এর উইন্টার কার্নিভাল। এবছর এই কার্নিভাল দ্বিতীয় বর্ষে পা দিল। আগে অন্যভাবে এই আনন্দোৎসব পালন হতো। গত বছর থেকেই তা কার্নিভালের রূপ পায়। সারা বছর ছাত্রীদের পড়াশোনার নিয়ে মেতে থাকা থেকে একটা স্বল্প বিরতি। দারুণ সব খেলা, প্রতিযোগিতা, বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে সাজানো হয়েছিল পুরো দিন। দেখুন ভিডিও
তবে অনুষ্ঠান হবে ভূরিভোজ হবে না, সেটা তো হয় না। তাই গোটা স্কুল চত্বরে ছিল রকমারি ফুড স্টল। স্কুলের কচি-কাঁচা থেকে বিভিন্ন বয়সী ছাত্রীদের খুশির জোয়ারে ভাসতে দেখা যায়। সঙ্গে ছিলেন বহু অভিভাবক।
সন্তানদের হাত ধরে তাঁরাও স্কুলের এই উৎসবে সামিল হন। তবে তাদেরও এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের সুযোগ দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিছু অভিভাবকে মঞ্চে গান গাইতে দেখা যায়। এ প্রসঙ্গে ভাইস প্রিন্সিপাল পৃথা সেন বলেন, ‘ সারা বছর অভিভাবকেরা যে ভাবে আমাদের সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়ান, তাতে আমরা ওঁদেরও স্কুলের অংশ মনে করি। সেকারণে সবাই মিলেই এই উদযাপন ।’
কার্নিভালে ছাত্রীদের নাচ, গান, নাটক ছাড়াও ছিল র্যাম্প ওয়াক, ট্যালেন্ট শো এবং কম্পিটিশন ও আরো নানা এভেন্ট। উইন্টার কার্নিভালে শপিং এবং এগজিবিশন স্টলও ছিল। এ বারের অনুষ্ঠানের জৌলুস আগের বছরকে ছাপিয়ে যায়। পৃথা জানান, এবছর প্রায় ৬০০০ – ৭০০০ হাজার মানুষ এই কার্নিভালের আনন্দে মেতে ওঠেন। যেটা আগের বছর প্রায় অর্ধেক ছিল।
স্কুলের প্রিন্সিপাল জানিয়েছেন, এই কার্নিভালে তাদের বিশেষ উদ্যোগ ছিল ৪০ জন দুঃস্থ শিশুকে তারা এখানে আমন্ত্রণ জানান। আনন্দানুষ্ঠানটি দেখার সুযোগ করে দেন। শৈশব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার শিশুরাও খেলা- ধূলা, খাওয়া – দাওয়ার মাধ্যমে সারাদিন উৎসবের শরিক হয়। অনুষ্ঠান মঞ্চে ছাত্রীদের মধ্যে দারুণ আত্মবিশ্বাসের ছাপ লক্ষ করা যায়। আশা করা যায় ভবিষ্যতে এই আত্মবিশ্বাসই তাদের জীবন দৌড়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়ক হবে।