শীতের আমেজে বদল এসেছে ওয়ারড্রবেও। সুতির পোশাককে আলমারিতে তুলে দিয়ে এখন বেরিয়েছে সোয়েটশার্ট। শহরের হাল্কা ঠান্ডায় সোয়েটশার্টই যথেষ্ট। কিন্তু সোয়েটশার্টের সঙ্গে আর ডেনিম প্যান্ট নয়। বরং, শাড়িকেই বেছে নিচ্ছেন বেশিরভাগ মহিলা। শিফন হোক বা হ্যান্ডলুম, সলিড রঙের সোয়েটশার্টের সঙ্গে এক্কেবারে মানানসই।
একসময় শীতকালে শাড়ির সঙ্গে উলের ব্লাউজ় পরার চল উঠেছিল। মা-কাকিমারা আজও শীতকালে উলের তৈরি ব্লাউজ় পরেন। এতে ঠান্ডাকে আটকানো যায় খুব সহজেই। কিন্তু নতুন প্রজন্ম উলের ব্লাউজ়ের বদলে বেছে নিচ্ছেন সোয়েটশার্টকে। হাল্কা রঙের সোয়েটশার্টের সঙ্গে দিব্যি বানিয়ে যায় গাঢ় রঙের সুতির শাড়ি।
ঠান্ডাকে আটকাতে চাদর গায়ে চাপানোর দরকার নেই আর। এমনকী সোয়েটশার্ট পরলে ব্রায়ের স্টার্প উঁকি দেয় না। ব্লাউজ়ের অস্বস্তি থেকে মুক্তি মেলে। তাই তো কমফোর্ট ফ্যাশন নাম দেওয়া হচ্ছে সোয়েটশার্ট ও শাড়িকে।
সোয়েটশার্ট ও শাড়ির সঙ্গে রয়েছে পায়ে স্নিকার্স। পায়ের কমফোর্টের কথাও মাথা রাখা হচ্ছে। হাই-হিল জুতো পায়ের জন্য খুব একটা ভালো নয়। অনেক সময় পা মচকে যাওয়ার, কিংবা গোড়ালিতে আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার পা খোলা জুতো পরলে ট্যান পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। শীতকালে পা খোলা জুতো পরলে গোড়ালিও ফাটতে পারে।
এই সব ঝামেলা থেকে মুক্তি দেয় স্নিকার্স। পায়ে আরাম মেলে স্নিকার্স পরলে। শুধু দেখে নিতে হবে স্নিকার্সের সোল যেন নরম ও আরামদায়ক হয়। তাই এখন সোয়েটশার্ট ও শাড়ির সঙ্গে হাল্কা রঙের স্নিকার্স ফ্যাশনে ইন।
শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ়, সোয়েটশার্টের নীচে ডেনিমই পরা হয়। আর ভারতীয় পোশাকের সঙ্গে স্নিকার্স পরার চল খুব বেশি নেই। কিন্তু এখন ট্রেন্ডিং ফ্যাশনে রয়েছে শাড়ি, সোয়েটশার্ট ও স্নিকার্স। কমফোর্ট ফ্যাশনের তালিকায় এরাই রয়েছে প্রথমে।
আপনিও এই ফ্যাশন ট্রাই করে দেখতে পারেন শীতে।