একতারাতে বেঁধে দিলে
দোতারারই সুর
একই দেহে রাম,
আর কৃষ্ণ সুমধুর …
রাম কুমার চট্টোপাধ্যায় সেই কবেই গেয়েছেন এই গান
এমন অসংখ্য জনপ্রিয় গান রয়েছে একতারা নিয়ে। এখনো এমন অনেক গান রয়েছে যা একতারা ছাড়া চিন্তাই করা যায় না। এই বাদ্যযন্ত্রটির সুরের মূর্ছনায় আজও যেন পাওয়া যায় মাটির ঘ্রাণ। আর এই বাদ্যযন্ত্রকে কেন্দ্র করে গাইঘাটার চাঁদপাড়ার গ্রামে নীলিমেশের হাত ধরে গড়ে উঠেছে কুটির শিল্প।
নীলিমেশের হাতে তৈরি এই একতারা শুধু উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় নয়, ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে। আধুনিক প্রযুক্তির অসংখ্য বাদ্যযন্ত্রের মাঝে যে দেশীয় বাদ্যযন্ত্রটি এখনো আদি ও অকৃত্রিমভাবে টিকে আছে সেটি হলো একতারা।
নিলীমেশের একান্ত সাক্ষাৎকারে কি বললেন দেখুন ভিডিও
শতাব্দীর পর শতাব্দীতেই কিছু মানুষ বংশপরম্পরায় দেখা যায় যে আবহমান গ্রামবাংলায় লোকজ জ্ঞানে এবং সৃজনশীল মেধায় বাদ্য যন্ত্রের সমৃদ্ধিতে তাঁদের নিজস্ব অভিজ্ঞতাকেই যেন ব্যবহার করে আসছে। তাঁরা আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যেন স্বহস্তে নানা বাদ্য যন্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত।বলা যায় যে, কোনো ভাবে পেটে ভাতে জীবন ধারণ করেই আসছেন। আসলেই তাঁদের নেই উন্নত প্রযুক্তি কিংবা আধুনিক প্রশিক্ষণ, তাছাড়াও তাঁদের পুঁজির অভাবেই এ শিল্পের বেহাল দশা দিনে দিনেই বৃৃৃৃদ্ধি পাচ্ছে, এখন এমন এ শিল্পের অনেকাংশে যেন ভাটা পড়তে বসেছে।
যখন এই ধরণের মানুষের দেখা মিলে যায় সত্যিই ভাবতে অবাক লাগছে। তাঁরা যেন প্রাণের টানেই এই বাদ্যযন্ত্রের শৈল্পিক কারিগরি হয়ে আছেন। বাপদাদার ঐতিহ্য মনে করেই কেউবা কেউ এই পেশাটিকে ছাড়তে নারাজ। সুতরাং এমন পেশার সুদক্ষ কারিগর ও মিউজিক ম্যান নীলিমেশ বিশ্বাস।
বাউল গানের অন্যতম অনুষঙ্গ একতারা। কারিগর নীলিমেশ একতারা তৈরি করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে চলেছেন গ্রাম বাংলার বাউলদের সঙ্গে । তাঁর একটাই উদ্যেশ্য বিশ্বব্যাপী ঘরে ঘরে যেন একটা করে একতারা থাকে শান্তির প্রতীক হয়ে I