অরিত্র ঘোষ দস্তিদার : সনাতন ভারতবর্ষে একাত্ম মানব দর্শন স্বাভাবিকভাবেই ভারতে শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে একীভূত ছিল। এই ধরনের দর্শন কার্যত প্রদর্শিত হয়েছিল প্রতিদিনের গুরুকুল শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে বিদ্যার্থীদের জীবনধারায়।
কার্যত, গুরুরা নিজ নিজ ছাত্রদের প্রকৃতি এবং তাদের সম্ভাবনা অধ্যয়ন করতেন বিভিন্ন তাত্ত্বিক এবং ব্যবহারিক অনুশীলনের মাধ্যমে। স্বতন্ত্র বিদ্যার্থীর গুরুকুলে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সম্ভাব্যতা অন্বেষণ করা হত। বিদ্যার্থীরা ইন্টিগ্রেটেড সিস্টেমের অধীনে তার সম্ভাবনাগুলি অন্বেষণ করার জন্য স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষিত ছিল, যেখানে একীকরণ প্রজন্মের পর প্রজন্ম অনুশীলন করা হয়েছিল; এবং সাথে জ্ঞান ও ঐতিহ্য স্বাভাবিকভাবেই এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে সঞ্চারিত ও প্রসারিত হয়।
একাত্ম মানব দর্শন শুধু ভারতের জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গিই ছিল না, ভারতীয়দের দৈনন্দিন জীবনে অনুশীলন করতো এই দর্শন। একজন ব্যক্তির শিক্ষা ছিল কার্যত সংহত এবং নৈতিক জীবনধারার সাথে সামগ্রিকভাবে উদ্ভাসিত। শিক্ষা বিদ্যার্থীদের স্বভাবতই তার পরিবার , সমাজ , দেশ ও পরিবেশ এবং আমাদের রাষ্ট্রজ্ঞানের সাথে এক সুত্রে বাধা ছিল। যেমন সমন্বিত এবং আন্তঃসম্পর্কিত চিন্তা আরও একত্রিত হয়েছিল ব্রহ্মান্ড এবং পরমাত্মার সাথে মেলবন্ধন রেখে।
এই সকল প্রকার তথ্য মাথায় রেখেই ভারতের আজকের দিনে আসতে চলেছে রাষ্ট্রীয় বিদ্যা যোজনা (National Education Policy 2020)।
এই সার্বিক কাজ করে চলেছে অন্নপূর্ণা কল্পনা সেল্ফ এডুকেশন ওপেন আ্যকাডেমি: একটি শিক্ষার জন্য সাবল্যময় প্রতিষ্ঠান।
অন্নপূর্ণা কল্পনা সেল্ফ এডুকেশন ওপেন আ্যকাডেমি (AKSOA) একটি অন্যতম অসাধারণ প্রতিষ্ঠান, যেটি সরকার অনুমোদিত একটি ট্রাস্ট যা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, পশুপালন, স্বনির্ভরতা, খেলাধুলা, যোগ ব্যায়াম, সাংস্কৃতিক ও পারম্পরিক মূল্যবোধ ইত্যাদির উন্নয়নে লক্ষ্য করে। এই প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য হল আমাদের সমাজের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে অগ্রগতির পথে আগ্রহী প্রাণীদের সাহায্য করা।
এই অন্নপূর্ণা কল্পনা সেল্ফ এডুকেশন ওপেন আ্যকাডেমি (AKSOA) অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী অপত্য স্নেহে শিক্ষা দান করে থাকেন। প্রতিষ্ঠানে বাচ্চাদের দেখাশোনার জন্য সুব্যবস্থা আছে এবং প্রয়োজনে পশুপালন সংক্রান্ত পরামর্শ ও চিকিৎসা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি বিধানচন্দ্র কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়ের বৈজ্ঞানিকদের সহযোগিতায় স্থানীয় জনজাতিদের মধ্যে কৃষি বীজ বিতরণ করে থাকে।
এই প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সহায়তা এবং সমর্থনের জন্য সমাজের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। এই প্রতিষ্ঠান আমাদের সমাজের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
AKSOA-এ প্রিনার্সারী, নার্সারী, এল কেজি, ইউ কেজি এবং তদূর্ধ্ব শ্রেণীতে যত্ন সহকারে শিক্ষা দান করা হয়ে থাকে। এছাড়াও, এই প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক ও পারম্পরিক অনুষ্ঠান সংগ্রহণ করা হয়। এটির মধ্যে বিদ্যালয়ের বাচ্চাদের জন্য শিক্ষার পাঠ্যক্রম বস্তুনিষ্ঠ ও মনোযোগসহকারে পরিচালিত হয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইংরেজিতে কথা বলা, নৃত্য, গীত, সংস্কৃত মন্ত্রোচ্চারণ, অঙ্কন, ব্যায়াম, খেলাধুলা, সাধারণ জ্ঞান এবং পারম্পরিক শিক্ষা প্রদান করা হয়।
প্রফেসর রাসবিহারী ভড়
ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান সংস্থান – ভারতীয় পশুচিকিৎসা অনুসন্ধান সংস্থান এর সেবা নিবৃত্ত প্রধান বৈজ্ঞানিক । তিনি বর্তমানে অন্নপূর্ণা কল্পনা সেল্ফ এডুকেশন ওপেন আ্যকাডেমি এবং ভারতীয় সেবা ফাউন্ডেশন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এর বৈজ্ঞানিক ও বৈচারিক উপদেষ্টা।
আঁটপুরে AKSOA র বিবেকানন্দ আইডিয়াল পাবলিক কোচিং স্কুল এবং এর অন্যান্য সেন্টার এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের জন্য কাজ করছেন। ভারত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ভারতীয় জ্ঞান পরম্পরার (IKS) পক্ষ থেকে কিছু বিদ্যার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
একই উদ্দেশ্যে ত্রিপুরায় বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যার্থীদের জন্য জনসহভাগিতায় কাজ শুরু করেছেন।এই প্রতিষ্ঠানের কার্যকলাপ সমাজের উন্নতির পথে একটি অগ্রাধিকার সৃষ্টি করতে সাহায্য করতে পারে। যেহেতু এটি সরকার অনুমোদিত একটি ট্রাস্ট, তাই এর কার্যকলাপ সমাজের উন্নতি ও উন্নত স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক উন্নতির মাধ্যমে নবীনদের সাহায্য করতে সক্ষম হতে পারে। তারা যদি এই প্রতিষ্ঠানে সহায়তা এবং সমর্থন প্রদান করেন, তাহলে এই প্রতিষ্ঠানের কার্যকলাপ আরও উন্নত হতে পারে এবং এটি সমাজের বিভিন্ন দিকে গার্হস্থ্যকর প্রভাব ফেলতে পারে।
সুতরাং, অন্নপূর্ণা কল্পনা সেল্ফ এডুকেশন ওপেন আ্যকাডেমি (AKSOA) এর কার্যকলাপের প্রতি সকলের সমর্থন ও সহায়তা প্রয়োজন এবং এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সমাজের উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে পথ চলার অনুরোধ করা যাচ্ছে। একটি শিক্ষার জন্য সাবল্যময় প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমাদের সমাজের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করা যাবে বলে মনে করছে শিক্ষা মহল । এই ভাবেই