দেশের সময়, কলকাতা : ইডি-র স্ক্যানারে এবার প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাদা দেবপ্রিয় মল্লিক।
বন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিককে রবিবার দুপুরে সল্টলেকের ইডি দফতরে দেখা গিয়েছিল। প্রিয়দর্শিনীর হাতে ছিল বেশ কিছু কাগজপত্র।
সোমবার সকালে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে পৌঁছলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাদা দেবপ্রিয় মল্লিক। ইডি তাঁকে তলব করেছিল, নাকি তিনি নিজেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির দফতরে পৌঁছেছেন, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। দেবপ্রিয় মল্লিক হলেন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মনোনীত সদস্য।
২০১২ সালে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য করা হয় জ্যোতিপ্রিয়র দাদা দেবপ্রিয়কে। তিনি সরকারি অফিসার না হলেও কীভাবে তাঁকে মনোনীত করা হয়েছিল, তখনই সেই প্রশ্ন উঠেছিল। ২০১৮ সালে রাজ্য সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। পরীক্ষায় শূন্য পেলেও তা বাড়িয়ে হয় ১৬২ করা হয় বলে অভিযোগ ছিল। দেবপ্রিয় সেই সময়ে পিএসসির সদস্য ছিলেন।
ইডি সূত্রে বলা হচ্ছে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ে নিজে থেকেই কিছু কাগজপত্র নিয়ে এসেছিলেন। হতে পারে আইনজীবীর পরামর্শে তিনি তা করেছেন। কিন্তু রবিবার তাঁর থেকে কিছু নেওয়া হয়নি। তবে রেশন দুর্নীতির তদন্ত এড়াতে পারবেন না বালুর মেয়ে প্রিয়দর্শিনী ও স্ত্রী মনিদীপা মল্লিক।
ঠিক যেভাবে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে জেরার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল, এক্ষেত্রেও তাই হবে। তার কারণ, অপরাধের টাকা তথা প্রসিডস অফ ক্রাইম মা-মেয়ের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল। তাঁরা দুজনে ভুয়ো কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন। সেই কোম্পানির মাধ্যমে বেআইনি লেনদেন হয়েছে। ফলে তদন্তের স্বার্থেই তাঁদের জেরা করতে হবে।
রেশন দুর্নীতির সঙ্গে দেবপ্রিয় মল্লিকের আদৌ যোগ রয়েছে কিনা তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। এ ব্যাপারে ইডি সূত্রে এখনও কিছু দাবিও করা হয়নি। এখন দেখার এক্ষেত্রেও কোনও যোগসূত্র পাওয়া যায় কিনা।