

সিবিআইয়ের পর এ বার ইডিকে দেখে পালানোর চেষ্টা করলেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। অভিযোগ, পালানোর সময় বাড়ির পিছনের ঝোপে একটি মোবাইল ফেলে দিয়েছেন তিনি। পরে তা উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত মুর্শিদাবাদের আন্দিতে জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকেরা রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নিয়ে ফের শুরু ধরপাকড়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর একটি টিম সোমবার সকালে তল্লাশি চালায় মুর্শিদাবাদের আন্দির বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে।

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্য জুড়ে ফের তল্লাশি অভিযান শুরু করল ইডি। কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় সোমবার সকাল থেকে তল্লাশি চলছে। ইডির একাধিক দল গিয়েছে মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমে।
মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের পিয়ারাপুরে জীবনকৃষ্ণের স্ত্রী টগর সাহার বাড়ি। সেখানে ইডি রয়েছে। এ ছাড়া, মহিষ গ্রামের বাসিন্দা ব্যাঙ্ক কর্মচারী রাজেশ ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চলছে বলে খবর।

সূত্রের খবর, এ ছাড়াও বীরভূমের সাঁইথিয়ায় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার মায়া সাহার বাড়িতেও গিয়েছেন তদন্তকারীরা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মায়া জীবনকৃষ্ণের পিসি। অতীতে নিয়োগ মামলায় সিবিআই-এর স্ক্যানারে ছিলেন এই বিধায়ক। তাঁকে গ্রেপ্তারও করেছিল সিবিআই। আপাতত তিনি জামিনে মুক্ত।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল সিবিআই-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল জীবনকৃষ্ণ। তাঁর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অন্যতম অভিযোগ ছিল, তিনি এই ঘটনায় ‘মিডলম্যান’-এর ভূমিকায় থাকা প্রসন্ন রায়কে ‘দুর্নীতির কাজে’ সহযোগিতা করতেন। যদিও জীবনকৃষ্ণ এই মামলায় জামিন পেয়েছিলেন। নতুন করে তাঁর বাড়িতে ইডি-র তল্লাশি অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এ দিকে মায়া সাহার বাড়িতেও এ দিন সকালে পৌঁছয় ইডির একটি দল। মায়ার পাশাপাশি তাঁর স্বামী সুব্রত সাহাও স্থানীয় তৃণমূল নেতা। এলাকাবাসীর কথায়, এ দিন সকালে তাঁরা মায়ার বাড়ির সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানকে দেখতে পান। এখনও এই তল্লাশিগুলির বিষয়ে ইডির তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য মেলেনি।