দেশের সময় , কলকাতা: টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা। পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া-বিভিন্ন জেলায় বিস্তর প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যেই জল ছাড়তে শুরু করেছে ডিভিসি। রাজ্যকে না জানিয়েই তা ছাড়া হচ্ছে, এমনটাই জানাল নবান্ন। সার্বিক পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রেখেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন করে এক লাখ কিউসেক জল ছাড়তে চলেছে ডিভিসি। আর তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ডিভিসি আরও এক লাখ কিউসের জল ছাড়লে তা রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সরকার। এই জল ছাড়া নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি। কী ভাবে এই জল ছাড়ার প্রক্রিয়া স্থগিত করা যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।’
সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বিশেষ করে পাঁচ এবং ছয় অগস্ট।
আগামী চার থেকে পাঁচ দিনে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২৪ ঘণ্টা রাজ্যের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যসচিব সহ অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন তিনি। পাশাপাশি জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সময় নদীর পাড়ে বা বিপজ্জনক কোনও জায়গায় না যাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে।
শনিবার মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৭০ কিউসেক জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন। ইতিমধ্যে মাইথন থেকে ১২ হাজার এবং পাঞ্চেত থেকে ৩৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এতে একাধিক নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে হাওড়া, হুগলি এবং পূর্ব বর্ধমানের নিচু এলাকাগুলির প্লাবনের আশঙ্কা তীব্র হয়েছে। ইতিমধ্যে বন্যার পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সব রকম প্রস্তুতি শুরু করেছে রাজ্য সরকার।