দেশের সময় ,বনগাঁ: পুজোর আর মাত্র হাতেগোনা কয়েকদিন বাকি। ইতিমধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থেকে প্রতিমা কলকাতা সহ-রাজ্যের বাইরে যেতে শুরু করেছে। শিল্পী সেন্টু ভট্টাচার্য্যের র্শিমুলতলার কারখানাতেও এখন চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। এখান থেকেই যে দুর্গাপ্রতিমা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে। মঙ্গলবার তার কারখানায় গিয়ে দেখা গেল চরম ব্যস্ততা চলছে। শিল্পীদের নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই। প্রতিমা তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এখন চলছে রঙের কাজ। তুলির টানে প্রতিমার ফিনিশিং টাচ দেওয়ার পালা।
শিল্পী সেন্টু ভট্টাচার্য জানান, এই কারখানায় সারাবছরই ফাইবারের বিভিন্ন মডেল তৈরি হয়। তবে দুর্গাপুজোর সময় প্রতিমার অর্ডার থাকায় অন্যান্য মডেলের কাজ বন্ধ থাকে। এখন দিনরাত ধরে চলে প্রতিমা তৈরির কাজ। প্রথমে মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরি করে সেটা ফাইবারে ছাচে ফেলে গড়ে ওঠে ফাইবারের দুর্গা প্রতিমা। এই কারখানা থেকেই ফাইবারের প্রতিমা তৈরি হয়ে এবারে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছে বলেও জানান তিনি। শুধু দুর্গা নয়, লক্ষ্মী, গনেশ, কার্তিক, সরস্বতী সহ একেবারে সপরিবারে দুর্গা তৈরি করে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা শহরেও পাঠিয়েছেন। এমনকি দুর্গার সঙ্গে সাযুজ্য করে অস্ত্রশস্ত্রও তাঁরা বানিয়ে দেন বলে জানান৷
এখন দেশের বিভিন্ন জায়গার অর্ডার অনুযায়ী ফাইবারের দুর্গাপ্রতিমা পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই প্রতিমাগুলি ট্রান্সপোর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যার মধ্যে একটি প্রতিমা বনগাঁ বাটা মোড় এলাকায় ১লা সেপ্টেম্বর পুরসভার উদ্যোগে স্থাপন করা হয়েছে৷ এখন বহু প্রতিমায় ফিনিশিং টাচ দেওয়ার পালা চলছে। ফাইবারের প্রতিমা সম্পর্কে সেন্টু ভটট্টাচার্য বলেন, “মাটির প্রতিমা সব জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। ফাইবারের দুর্গা প্রতিমা নিয়ে যাওয়া অনেক সহজ। তাই দেশ- বিদেশ থেকে মূলত ফাইবারের দুর্গাপ্রতিমার অর্ডার আসে।” বিদেশের পাশাপাশি ইদানিং দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকেও ফাইবারের প্রতিমার অর্ডার আসছে বলে জানান তিনি৷
সেন্টু ভট্টাচার্যের স্টুডিওতে মঙ্গলবার সকালে গিয়ে দেখা গেল উল্টোডাঙার যুববৃন্দের প্রতিমায় চলছে ফিনিশিং টাচ ৷ শিল্পী জানান, উল্টোডাঙার যুববৃন্দের পুজো এবার ৫৫ তম বর্ষে পা রাখল , সেই মন্ডপ গড়ছেন বনগাঁরই শিল্পী প্রশান্ত পাল৷ তাদের এবারের থিম “উল্টোডাঙার উল্টো কথা মায়ের পুজোয় বাবার কথা জীবন বীর ” ৷ সেন্টু বাবুর কথায়, “বাংলার দুর্গার একটা আলাদা চাহিদা রয়েছে।”