আজ বিজয়া দশমী। বাঙালির ঘরের মেয়ে উমা আজ কৈলাসে সন্তানদের নিয়ে ফিরে যাবে। বাঙালির আজ মন খারাপ। দুপুর গড়াতেই বিভিন্ন নদীর ঘাটে ঘাটে শুরু হয়েছে দেবীর বিসর্জন।
প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় ইছামতি নদীকে দূষণমুক্ত রাখতে প্রতি বছরের মতো এবছরও বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে পুরসভা। বনগাঁপুর এলাকার থানার ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের সংখ্যা খুব বেশি হয়।
প্রশাসনের আধিকারিকদের অনুমান এদিন প্রায় ১০০ বারোয়ারি এবং বাড়ির পুজোর প্রতিমা নিরঞ্জন হয়ে যাবে। বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ বলেন ,’আমরা সকলেই জানি প্রতিমা তৈরিতে কারিগররা যে সমস্ত রং ব্যবহার করেন তাতে বিভিন্ন ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে। প্রতিমা নিরঞ্জনের সময়ে এই সমস্ত ক্ষতিকারক রাসায়নিক জলে মিশলে জল দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’ তিনি বলেন,’ ইছামতি আমাদের প্রিয় নদী। তাই আমাদের কর্তব্য এই নদীকে দূষণমুক্ত রাখা। প্রত্যেক দিন প্রচুর মানুষ এই নদীতে স্নান করেন এবং এই নদীর জল পানের জন্য ব্যবহার করা হয়। নদীর জল দূষিত হয়ে পড়লে চামড়া এবং অন্যান্য রোগও হতে পারে।’ গোপাল বাবু আরও বলেন, ‘বারোয়ারি পুজো কমিটিগুলি এবং বাড়ির পুজোর উদ্যোক্তারা যাতে খুব সহজে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে পারেন সে কারণে এবছর বনগাঁ পুরসভার তরফ থেকে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ বছর প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য বিশেষভাবে চিহ্নিত থানার ঘাটে পর্যাপ্ত আলো এবং সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা থাকছে।’ তিনি জানান,’ পুজোর উদ্যোক্তারা যাতে সহজেই প্রতিমা নিরঞ্জন করতে পারে সে কারণে ঘাটগুলোতে ট্রলির ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
কে এন কলেজ ঘাটে হাইড্রা ক্রেনে করে বড় প্রতিমাগুলো নিরঞ্জনের পর দ্রুত সেই কাঠামো জল থেকে তুলে ফেলা হচ্ছে। পাশাপাশি নিরঞ্জন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার জন্য পুরসভার শতাধিক কর্মী এদিন ইছামতি ঘাটে উপস্থিত ছিলেন।’
চেয়ারম্যান জানান, ‘পুজোর উদ্যোক্তারা যাতে ফুল বেলপাতা এবং অন্যান্য দ্রব্যাদি ইছামতি নদীতে না ফেলে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলেন সে কারণে পুরসভার তরফ থেকে প্রচার চালানো হয়েছে।
এর পাশাপাশি ইছামতির ঘাটে পর্যাপ্ত সংখ্যক অস্থায়ী ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকল উদ্যোক্তারা ফল-ফুল-বেলপাতা সেখানেই ফেলবেন। পরে পুরসভার কর্মীরা সেগুলো অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাবেন।’