দেশেরসময়, বনগাঁ: অভিনব উদ্যোগ নিল বনগাঁ পুরসভা। সারা বছরই ‘দুয়ারে সরকার’-এর ব্যবস্থা বুথে বুথে ক্যাম্প করে বছরে চার থেকে পাঁচবার ‘দুয়ারে সরকার’ এর পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার। একই কর্মসূচি পালনের জন্য নির্দিষ্ট একটি ঘর সারা বছরের জন্য খোলা থাকবে বনগাঁ পুরসভায়। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘জনতার দরবার’।
মঙ্গলবার নতুন এই উদ্যোগের সূচনা করেন রাজ্যের খাদ্য মন্ত্রীর রথীন ঘোষ। মন্ত্রীর উপস্থিতিতে ‘জনতার দরবার’ ঘরের সূচনা হয় বনগাঁ পুরসভা। সরকারি সূচি অনুযায়ী দুয়ারে সরকার চলাকালীন সংশ্লিষ্ট শিবির থেকে যে পরিষেবাগুলি সাধারণ মানুষ পেয়ে, থাকেন, সমস্ত পরিষেবা মিলবে ‘জনতার দরবার’ থেকেও।
রাজ্য সরকার ‘দুয়ারে সরকার’শিবিরের মাধ্যমে ৬৩টি জনমুখী প্রকল্প সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়। কিন্তু বনগাঁ পুরসভা অভিনব উদ্যোগ নিল মঙ্গলবার থেকে। যে সমস্ত নাগরিক দুয়ারে সরকার চলাকালীন রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্পের পরিষেবা নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন না তারা অন্য সময়ে সরাসরি বনগাঁ পুরসভার জনতার দরবার নামে এই ঘরে এসে আবেদন জানাতে পারবেন ৷
মঙ্গলবার বনগাঁ পুরসভার পুর প্রধান গোপাল শেঠ ও অন্যান্য কাউন্সিলর এর উপস্থিতিতে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন এই ঘরের সূচনা করেন। পুরসভার সরকারি আধিকারিকরা এই জনতার দরবার থেকে সরকারি ছুটির দিন বাদ দিয়ে বছরের প্রতি দিনই এখন থেকে সরকারি পরিষেবা প্রদানের ব্যবস্থা করবেন। এতে এলাকার জন সাধারণ অনেকটাই উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানান, বনগাঁ পুরসভা একটি অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৬৩ টি জনমুখী প্রকল্প সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই জনতার দরবারে এই ঘর উদ্বোধন করল। আমজনতার দুয়ারে সরকার যখন চলবে না, তখন নানা প্রকল্পের পরিষেবা পেতে পুরসভায় এসে এই ঘরে আবেদন করতে পারবে।
জানা গিয়েছে, সরকারি একাধিক প্রকল্পের আবেদন পত্র গ্রহণ, আবেদন পত্র জমা দেওয়া বা প্রকল্প সংক্রান্ত কোনও অসুবিধার কথা এখানে এসে জানাতে পারবে গ্রাহকরা। পরিষেবা সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ থাকলেও এখানে এসে সেটা জানানো যাবে। এমনকি সেই সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থাও করা হবে এই জনতার দরবার থেকে। বনগাঁ পুরসভার এই উদ্যোগ জনপ্রিয় হলে আগামী দিনে অন্যান্য পুরসভাতেও এই কর্মসূচি শুরু করা হতে পারে বলে মনে করছেন পুর আধিকারিকরা।