Dr Tasnim jara: ফুলশয্যার বিছানায় রক্তের দাগ না থাকলেই স্ত্রীর ভার্জিনিটি নিয়ে প্রশ্ন? উত্তর দিলেন ডা: তসনিম জারা

0
2103

সহবাসের পর বিছানায় রক্তের দাগ না লাগলেই স্ত্রী বা গার্লফ্রেন্ডের ভার্জিনিটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। সম্প্রতি এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়োর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করলেন ডা: তসনিম জারা । এই প্রসঙ্গে একটি ভিডিয়ো ফেসবুকে শেয়ার করেছেন তিনি। রইল বিস্তারিত…

https://www.facebook.com/1767925263347180/posts/3270608516412173/?app=fbl

প্রথমবার সহবাসের পর বিছানায় রক্তের দাগ না লাগলেই স্ত্রী বা গার্লফ্রেন্ডের ভার্জিনিটি নিয়ে প্রশ্ন? কুমারিত্ব নিয়ে ভুল ধারনা ভাঙালেন ওপার বাংলার চিকিৎসক তসনিম জারা। প্রথম সঙ্গমে রক্তক্ষরণ না হওয়া মানেই সঙ্গী ‘ভার্জিন’ নয়, এই ধারনা সম্পূর্ণ ভুল বলে দাবি করলেন এই চিকিৎসক।

তিনি সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, “অনেকেই ভাবেন প্রথম সহবাসে রক্তপাত না হলে সঙ্গী কুমারী নন, এটি ভ্রান্ত ধারনা। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে ১০০ জনের মধ্যে ৪৪ জন মহিলার প্রথম সঙ্গমে কোনও রক্তপাত হয়নি, ৩২ জন মহিলা কোনও ব্যথা অনুভব করেননি।

এক্ষেত্রে যোনিপথ পিচ্ছিল না হওয়ার কারণে বা জোর করে পুরুষাঙ্গ প্রবেশের কারণে রক্তপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে।” তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, যেখানে বলা হচ্ছে, ৯৯ শতাংশ মহিলার হাইমেন ছিঁড়ে যায় সহবাস করার কারণে। পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, যদি ফুলশয্যায় রাতে দেখেন সঙ্গীর রক্তপাত হয়নি তাহলে বুঝবেন তিনি অতীতে সহবাস করেছেন। এই ভিডিয়োতে যে তথ্য দেওয়া হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভুল।

ডা: তসনিম জারা আরও বলেন, “কোনও মেয়ে ভার্জিন কিনা তা পরীক্ষার জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানে বা সামাজিকভাবে তিনটি পদ্ধতি রয়েছে। রক্তক্ষরণ না হলে কোনও মহিলা কুমারী নন এই ধারনা ভুল।

‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’’
এক্ষেত্রে নারীদের যোনিপথে আঙুল প্রবেশ করিয়ে পরীক্ষা করা হয়। ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানেও এই নিয়ম বাতিল করা হয়েছে। এই পদ্ধতির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তসনিম জারা। তবুও এখনও কিছু কিছু দেশে এই পদ্ধতি চালু রয়েছে বলেও জানান তিনি।

হাইমেন ইন্সপেকসন
এক্ষেত্রে হাইমেন ছেঁড়া রয়েছে কিনা বা কোনও আঘাত রয়েছে কিনা তা দেখে বোঝার চেষ্টা করা হয়। এই পদ্ধতিও ভুল বলে দাবি করেছেন এই চিকিৎসক। তাঁর কথায়, অতীতে এক গবেষণায় ৩৬ জন গর্ভবতীর হাইমেন ইন্সপেকশন করা হয়। সেখানে দেখা যায় গর্ভবতী হওয়া সত্ত্বেও মাত্র ২ জনের হাইমেন ছেঁড়া ছিল। কুমারিত্ব নির্ধারণের এই নিয়মও সম্পূর্ণ ভুল বলেন তিনি।

উল্লেখ্য, প্রফেসার রেড্ডি ফরেন্সিক মেডিসিন বইটিতে আধুনিক চিকিৎসানীতি সংযোজনের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানাচ্ছেন তিনি।

Previous articleNorth 24 Paraganas: যশোর রোডে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে নিহত দুই,এলাকাবাসীর বিক্ষোভের পরই শুকনো ডাল কাটার সিদ্ধান্ত বনগাঁ পুরসভার
Next articleWeather Update:রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস, কমলা সতর্কতা উত্তরবঙ্গে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here