দেশের সময় ,কলকাতা: অবশেষে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে ব্যারিকেড তুলে নিল পুলিশ। ২২ ঘণ্টা টানা অবস্থানের পর লালবাজারের দোরগোড়া পর্যন্ত মিছিল করে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হল আন্দোলনকারীদের।
আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে, নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে স্লোগান তুলতে তুলতে মিছিল এগোচ্ছে লালবাজারের দিকে। ধ্বনি উঠছে মিছিল থেকে, “তোমার আমার এক স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর।”
সামনের সারিতে হাতে হাত ধরে মানববন্ধন করে রেখেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। তার পিছনে ‘আমরা করব জয়’ গাইতে গাইতে এগোচ্ছেন আন্দোলনরত ডাক্তারেরা।
আরজি করের নির্যাতিতার জন্য বিচার চেয়ে লালবাজার অভিমুখে জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল আটকাতে দুটি ব্যারিকেড করেছিল পুলিশ। এই ব্যারিকেডের বাইরেই সোমবার রাতভর অবস্থান করেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
রাতে পুলিশ কর্তারা তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। ফের মঙ্গলবার বেলা ১২ টা নাগাদ অবস্থানরত ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন অ্যাডিশনাল পুলিশ কমিশনার সন্তোষ পাণ্ডে। রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন ডাক্তারদের। তাঁদের একটি প্রতিনিধি দল যাতে সেখান থেকেই লালবাজারে স্মারকলিপি জমা দিয়ে আসে, সেই অনুরোধও জানান। তবে সেই অনুরোধ আবারও প্রত্যাখান করেন ডাক্তাররা।
তাঁরা জানিয়ে দেন, হয় পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে নিজে এসে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হবে। সেখানেই তাঁকে স্মারকলিপি পড়ে শোনানো হবে এবং তিনি সেটি গ্রহণ করবেন। না হলে ডাক্তারদের মিছিলকে লালবাজারের দিকে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট ও বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের সংযোগস্থল পর্যন্ত এগোতে দিতে হবে। সেখান থেকে ডাক্তারদের একটি প্রতিনিধিদল লালবাজারে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেবেন। এর কোনওটাই না শোনা হলে পদত্যাগ করতে হবে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে।
জুনিয়র ডাক্তারদের এই দাবি নিয়ে লালবাজারে দফায় দফায় বৈঠক করেন পুলিশ কর্তারা। পরে কলকাতা
পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার রূপেশ কুমার ফের জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মিলিত হন। এরপরেই বের হয় সমাধানসূত্র। ডাক্তারদের দাবি মেনে ব্যারিকেড সরিয়ে নিতে সম্মত হয় পুলিশ। জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, আরও ১০০ মিটার মিছিল করে গিয়ে তারপরে তাঁদের ২২ জনের প্রতিনিধি দল পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দেবেন।
পুলিশ ব্যারিকেড সরানোর সিদ্ধান্ত নিতেই প্রাথমিক জয়ের উচ্ছ্বাসে তীব্র হয় স্লোগান। ‘উই শ্যাল ওভার কাম’ গানের সুরে নির্যাতিতার জন্য বিচার আদায়ের অঙ্গীকার দৃঢ় হয় আরও।