আলোর উৎসব দীপাবলি। আলোয় ভরে উঠবে সারা দেশ। একটা সময় ছিল যখন মানুষ প্রদীপ জ্বালত, তাই তো দীপালিকা। সেই বিলাসিতায় বহু বছর আগেই হেনেছে মূল্যবৃদ্ধি। তখন থেকেই বেড়েছে মোমবাতির কদর। ক্রমশ উন্নত হচ্ছে প্রযুক্তি। জোনাকির মতো আলো ঘরের ভিতর এক সময় এনে দিয়েছিল টুনি বাল্ব। তারপর সে প্রযুক্তি আরও উন্নত হয়ে নিয়ে এসেছে এলইডি। সাশ্রয়ী, সুন্দর।
আজকাল বাজারে বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিন আলো পাওয়া যায়। বিশেষত এই উৎসব মরশুমে নানা আকারের, নকশার আলো— এক একটার প্রযুক্তি এক এক রকম। বছরের এই সময়টায় চিনে বাজার ছেয়ে যায় হরেক আলোর সম্ভারে। ব্যাটারিচালিত আলোর কদরও এ বছর বেশ ভাল। চাঁদনি চকে পাওয়া যাচ্ছে এমন আলো যা দেখতে পদ্ম ফুলের মতো। এমনিতে কৃত্রিম ফুল বলেই মনে হবে দেখে, কিন্তু জলের পাত্রে ফুল ভাসিয়ে দিলেই জ্বলে উঠবে সে। মনে হবে যেন প্রদীপ ভাসছে জলে।
উৎসব মরশুমেও সুরক্ষা, সাশ্রয় এবং পরিবেশের কথা চিন্তা করে মনে রাখতে হবে কয়েকটি বিষয়—
১. পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভাবতে হবে। শর্ট সার্কিটের ভয় থেকে বাঁচতে তাই বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের আলো বা অন্য সরঞ্জাম কেনাই ভাল।
২. স্মার্ট লাইট ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় যেমন হবে, তেমনই মিলবে অনেক সুবিধা।
৩. বারান্দা, লন, পার্ক প্রভৃতি অংশের জন্য সৌর-বিদ্যুতে চালিত আলো ব্যবহার করা যেতেই পারে। তাতে খরচ বাঁচবে, পরিবেশ বাঁচবে, আলো জ্বালানো বা নেভানোর সময়ও বাঁচবে।
৪. স্মার্ট আলো না থাকলে স্মার্ট প্লাগ ব্যবহার করা যায়। এটি যে কোনও আলোকে ‘স্মার্ট’ করে তোলে। Wi-Fi এর সাহায্যে যে কোনও জায়গা থেকে পরিচালনা করা যায় আবার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ও হয়।
৫. কালীপুজোয় বৃষ্টির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ফলে ভাল ভাবে আচ্ছাদিত এবং জল থেকে সুরক্ষিত আলো খোলা জায়গায় লাগানো দরকার।
৬. কোথাও কোনও তার খোলা অবস্থায় রাখা যাবে না।
৭. স্মার্ট আলো ব্যবহার করলে অবশ্যই ওয়াই-ফাই রেঞ্জ ঠিক করে নিতে হবে। দূরত্ব বাড়লে অসুবিধা হবে।
৮. একটি সকেটে একাধিক প্লাগ ব্যবহার উচিত নয়। অনেকেই প্লাগ বা তার কেটে একাধিক আলোর তার একটিতে বেঁধে দেন। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক।
৯. ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এক একটি ঘরে এক এক রকম নকশার আলো ব্যবহার করা যেতে পারে।