নিউটাউনের এক পার্লারে গিয়েছিলেন সাজগোজ করতে। সেখানে সাজগোজ সেরে রিঙ্কু মজুমদার বধূর বেশেই শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌঁছে যান দিলীপ ঘোষের বাড়িতে। নিউটাউনের একটি আবাসনে থাকেন দিলীপ। প্রাক্তন বিজেপি সাংসদের সেই ফ্ল্যাটেই গোধূলি লগ্নে চার হাত এক হল দু’জনের। উপস্থিত রইলেন পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ কয়েক জন।

সৌজন্যের রাজনীতিতে বরাবর নজির গড়েছে বাংলা। এ বারেও তার ব্যতিক্রম হলো না। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের বিয়ে উপলক্ষে তাঁকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠালেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া একটি হলুদ রঙের খাম পৌঁছে যায় দিলীপ ঘোষের নিউ টাউনের বাড়িতে। একই সঙ্গে ফুলের তোড়াও পাঠিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।

রাজনৈতিক ময়দানে দ্বিমত থাকলেও বঙ্গ রাজনীতিকরা একে অন্যের প্রতি সৌজন্য বিনিময়ে অতীতেও বিভিন্ন সময়ে পিছপা হননি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনে তাঁকে ফোন করে খোঁজ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তেমনই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অসুস্থতার খবর পেয়েও ছুটে যেতেন তিনি। এ বার রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতির জীবনের বিশেষ দিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেচ্ছাবার্তায় লেখেন, ‘শ্রীমতী রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে আপনার বিবাহবন্ধনের কথা জেনে আনন্দিত হলাম। জীবনের এই নতুন অধ্যায়ের সূচনায় রিঙ্কুদেবী ও আপনাকে আমার তরফে অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।’

দিলীপ ঘোষের বিয়ে নিয়ে চর্চা গোটা বাংলাজুড়ে। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই বিজেপি নেতাকে। শুক্রবার সকালে দিলীপ ঘোষের নিউ টাউনের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরুর জন্য শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সুনীল বনসল-সহ আরও অনেকে।

বিয়ে নিয়ে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, তিনি মায়ের অনুমতি নিয়েই জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করছেন। স্বমহিমায় এই নেতা বলেন, ‘কোনও টেনশন নেই।’ প্রসঙ্গত, বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্য রিঙ্কু মজুমদারকে বিয়ে করছেন দিলীপ ঘোষ। এই ‘দাবাং’ নেতার বিয়েতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
