
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন অর্থাৎ বুধবার দিঘায় নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন রয়েছে। বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

তার আগে আজ মঙ্গলবার সেখানে বিশেষ হোম-যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। যা নিয়ে মহা ধুমধাম প্রচার। দেখুন ভিডিও

এই দু’দিনের কর্মসূচির খবর যাতে যথাযথ ভাবে প্রতিটি পুরসভা ও ব্লকে প্রচার করা হয় সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। কী না, প্রচারের যাবতীয় খরচ কীভাবে বহন করা হবে সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনও নির্দেশিকা নেই। লিখিত আকারে তেমন কিছু না থাকায় খানিকটা ফ্যাসাদেই পড়েছে পুরসভা ও ব্লকগুলি।
কয়েকটি জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ক’দিন আগে রাজ্যস্তর থেকে বার্তা এসেছে, যেখানে বলা হয়েছে বুধবার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করতে হবে। জেলাসদর, পুরসভা ও ব্লকে ব্লকে জায়ান্ট স্ক্রিন টাঙিয়ে অনুষ্ঠান দেখানো হবে। শুধু তাই নয়, দু’দিনের মহাঅনুষ্ঠানের খবরাখবর যথাসম্ভব প্রচার করতে হবে। কিন্তু অনেক সমস্যাটা হল অনেকেই নাকি বলাবলি করছে, খরচ কীভাবে হব, সেটার জন্য লিখিত নির্দেশিকা না থাকায় একটু সমস্যাই হচ্ছে।

যদিও বিভিন্ন পুরসভা, মহকুমা ও ব্লক অফিসের সামনে দিঘার মন্দিরের ছবি দেওয়া পোস্টার দেখা গেছে। অনেক জায়গায় মাইকে করে প্রচার হচ্ছে। বলা হচ্ছে সরাসরি সম্প্রচারের কথাও। তাছাড়া স্থানীয় বিধায়ক, বিশেষ ব্যক্তিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়ছে। তবে, অনুষ্ঠানের কোনও লিখিত নির্দেশিকা মেলেনি বলেই অনেকের দাবি।

যদিও জানা গিয়েছে, লিখিত নির্দেশিকা না থাকলেও প্রতিটি পুরসভা ও ব্লককে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। সেই দিয়েই যাবতীয় খরচ বহন করতে হবে।
বস্তুত, অপদেবতা তাড়ানোর যজ্ঞ শুরু হয়েছিল গত শুক্রবার থেকে। সেই থেকে রোজই কোনও না কোনও উদ্দেশ্যে যজ্ঞ হচ্ছে। তবে আজ মঙ্গলবার মহাযজ্ঞ রয়েছে। জগন্নাথদেবকে আবাহনের উদ্দেশ্যে এদিন সকাল থেকে শুরু হয়ে তা চলবে বিকেল পর্যন্ত। তারপর পূর্ণাহুতি দেবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত সেদিকেই রয়েছে রাজ্যবাসীর নজর।
