পিয়ালী মুখার্জি, দিঘা : আজ গুরু পূর্ণিমা। ভরা কটালে সকাল থেকেই ফুঁসছে দিঘার সমুদ্র। জোয়ারের সময় উত্তাল সমুদ্র দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত সাধারণ পর্যটক থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা।
ভরা বর্ষার মরসুম। পূর্ণিমার কটালে উত্তাল হয়েছে সমুদ্র। সকাল থেকে সমুদ্রে শুরু হয়েছে জলোচ্ছ্বাস । তাজপুর যাওয়ার রাস্তা, মেরিন ড্রাইভ সবই জলের তলায়। হু হু করে ঢুকছে জল। পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে প্রমাদ গুণছেন এলাকাবাসী। আবার সমুদ্রের জল সব ভাসিয়ে দেবে না তো ! গত দু বছর একের পর এক ঝড়ের ধাক্কা সয়েছে সৈকত এলাকাগুলি।
বুধবার সকাল ৯ টা নাগাদ প্রথম দিঘার সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস নজরে পড়ে। এরপর একের পর এক বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ে দিঘার গার্ডওয়ালের উপর। পুলিশ জানাচ্ছে, বেলা ১০টার নাগাদ জোয়ারের প্রভাব কমার পর ঢেউয়ের উচ্চতা খানিকটা কমেছে। জলোচ্ছ্বাস নজরে পড়তেই সৈকত থেকে পর্যটকদের তুলে আনতে সঙ্গে সঙ্গে নেমে পড়েন পুলিশকর্মী এবং নুলিয়ারা। রাতে আরও বড়সড় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের শঙ্করপুর, দিঘা, তাজপুর, উদয়পুরে এ সময় বহু পর্যটকই ভিড় জমান। ফুঁসছে সমুদ্র। জলের তোড়ে ভাসছে তাজপুর যাওয়ার রাস্তা, মেরিন ড্রাইভ। রাস্তার ওপর দিয়ে জল বইছে প্রবল বেগে। জল ঢুকতে শুরু করেছে গ্রামেও।
এই পরিস্থিতিতে কোনও বড় দুর্ঘটনা এড়াতে ওয়াচ টাওয়ার থেকে চালানো হচ্ছে কড়া নজরদারি। পর্যটকদের সতর্ক করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।
প্রবল জলোচ্ছ্বাসের কারণে ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে দিঘায়। তাজপুর যাওয়ার রাস্তা, দিঘার মেরিন ড্রাইভ সবই ইতিমধ্যেই জলের তলায়। পার্শ্ববর্তী একাধিক গ্রামে হু হু করে ঢুকছে জল। তাজপুর, জলধা, জামড়া শ্যামপুরের মতো এলাকায় কয়েকটি বাড়িতেও জল ঢুকে গেছে। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের আয়লা সেন্টারে নিয়ে আসা হয়েছে।
অন্যদিকে, দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের কাছে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। তার প্রভাবে আগামী কয়েকদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে কিছুটা বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সতর্ক উপকূলবর্তী এলাকা।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের সতর্কবার্তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকের মাধ্যমে সতর্ক করা শুরু হয়েছে নামখানা ও মৌসুনি দ্বীপে । পাশাপাশি কাকদ্বীপ নামখানা ফ্রেজারগঞ্জ পাথরপ্রতিমা থেকে যে সমস্ত ট্রলার মাছ ধরার জন্য বঙ্গোপসাগরে ভেসেছে, তাদের অবিলম্বে ফিরে আসতে বলা হয়েছে । ১৩ ও ১৪ তারিখ সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করার হয়েছে। প্রশাসনের তরফে৷