Didir Doot:সপাটে চড় বিজেপি কর্মীকে, দত্তপুকুরে জ্বলল আগুন, ‘ভুল করেছে’ বললেন ফিরহাদ

0
727

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দত্তপুকুরে তৃণমূল কর্মীর হাতে যুবকের সপাটে চড় খাওয়ার ঘটনা ঘিরে শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে। দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে গিয়ে এক যুবককে চড় মারেন এক ব্যক্তি। অভিযোগ, তিনি তৃণমূলের কর্মী। অন্যদিকে যাঁকে চড় মারা হয় তিনি বিজেপির মণ্ডল কমিটির সভাপতি বলে জানা গিয়েছে। নাম সাগর বিশ্বাস।

এদিন দত্তপুকুরের ইছাপুর-নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাউবনা এলাকায় দিদির দূত কর্মসূচিতে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের কাছে খারাপ রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানাতেই বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সাগর বিশ্বাসকে প্রথমে ঘাড়ধাক্কা, তারপর সপাটে চড় কষান স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শিবম রায়। পরে আক্রান্ত বিজেপি নেতার পিঠ চাপড়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন খাদ্যমন্ত্রী। ব্যক্তিগত সমস্যার জেরে এই ঘটনা বলে সাফাই রথীন ঘোষের।

ঘটনার প্রতিবাদে সুভাষনগরে ব্য়ারাকপুর-বারাসাত রোডে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। অবরোধে সামিল হন আক্রান্ত বিজেপি নেতা সাগর বিশ্বাস।

তবে যুবকের রাজনীতির রং যাই হোক, বাম-ডান-বিজেপি নির্বিশেষে সকলেই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। ওই যুবক নিজের বক্তব্য জানাতে গেলে তাঁকে শিবম রায় নামে ওই তৃণমূল কর্মী চড় মারেন বলে অভিযোগ। মুহূর্তে তুমুল হইচই শুরু হয়। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এটা ভুল করেছে। যে করেছে তাঁর ভুল। তবে এটা এখন একটা খেলা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব বিক্ষোভ করানো হচ্ছে। কারণ, দিদির দূত যাচ্ছে। যার বলার দরকার সে বলবে, যার বলার নেই সে বলবে না। এসব বিক্ষোভ তো খেলার মতো। এটাও ভুল হচ্ছে।” তবে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “আপাতত চড় মেরেছে। এরপর গাছে বাঁধবে।”

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা ভিডিয়োটা দেখেছি সকলেই। সেখানে একজন তৃণমূল নেতা একজন সাধারণ মানুষকে মুখের মধ্যে সরাসরি ঘুষি মেরেছেন। এদের দৌরাত্ম্য কোন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। এরা ধরাকে সরা জ্ঞান করছে। এদের অহংকার এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে পতনের সময় এসে গিয়েছে। তাই জনগনের সঙ্গে এরকম ব্যবহার করছে। তবে জনগনের লাথি যেদিন পড়বে সেদিন এদের কুকুর বেড়ালও রাস্তায় পাত্তা দেবে না।”

তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “দিদির দূতেরা প্রত্যেকে চোর ডাকাত। পায়ের নখ থেকে মাথার চুল অবধি দুর্নীতিতে ডোবা। এরা দুর্নীতির দূত। আমার তো মনে হয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ যদি না শোনে তাদের বেঁধে রাখা উচিত। অভিযোগ শোনানো উচিত।” দত্তপুকুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিভিন্ন মহল। কারণ যাই থাকুক না কেন, গায়ে এভাবে হাত তোলার ঘটনা নিন্দনীয় বলছেন সকলেই। এই ঘটনার পরই পথ অবরোধে নামে বিজেপি কর্মীরা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে চলে অবরোধ। ব্যারাকপুর-বারাসত রোড আটকে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা।

Previous articleSlap by TMC leader: মন্ত্রীর সামনেই ‘দিদির দূত’কে অভিযোগ জানাতে গিয়ে গ্রামবাসীকে সপাটে চড় খেতে হল তৃণমূল কর্মীর হাতে!
Next articleAmartya Sen : মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে, বলছেন নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here