Delhi Blast:দিল্লির বিস্ফোরণে আরও গভীর রহস্য! হরিয়ানার গাড়ি, জনৈক সলমনের নামে রেজিস্ট্রেশন , মৃতের সংখ্যা ৮ , মেলেনি কোনও ব্যালিস্টিক উপাদান

0
1

অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক ছন্দেই কাটছিল দিল্লির দিন। সোমবার সন্ধ্যেয় হঠাৎ ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল রাজধানী। লাল কেল্লার মেট্রো স্টেশনের কাছে জোড়া গাড়িতে বিস্ফোরণ । আতঙ্কে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় এলাকায়।

লালকেল্লার সামনে সিগন্যালে একটি গাড়ি এসে থামতেই বিস্ফোরণ ঘটে! এমনই জানাল দিল্লি পুলিশ। গাড়িটি ছিল হুন্ডাইয়ের আই২০। প্রথমে মনে করা হয়েছিল দিল্লির লালকেল্লা মেট্রোর পার্কিংলটে দাঁড়ানো গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। তবে পরে দিল্লি পুলিশ বিষয়টি স্পষ্ট করে। বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই ছিল যে আশপাশের অন্তত ২২টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দিল্লির পুলিশ কমিশনার সতীশ গোলচা সাংবাদিকদের জানান, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে একটি ছোট গাড়ি গতি কমিয়ে লাল সিগন্যালে দাঁড়ায়। তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের ফলে বেশ কয়েক জন আহত হন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ঘটনা নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান সতীশ।

সূত্রের খবর, আই২০ গাড়িটির নম্বরপ্লেট হরিয়ানার। মহম্মদ সলমন গাড়ির মালিক। তাঁর নামে রেজিস্ট্রেশন। হরিয়ানার নম্বর প্লেট। সলমনের নামে আই টোয়েন্টির মালিকানা। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গাড়ির নম্বর HR 26 CE 7674 । সলমন জানিয়েছেন, তিনি অন‍্য এক জনের কাছে গাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন। এখন তিনি মালিক নন। দিল্লি পুলিশ এ ব্যাপারে হরিয়ানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। দিল্লি পুলিশের একটি দল হরিয়ানায় যেতে পারে বলেও খবর। বিস্ফোরণের নেপথ্যে নাশকতা জড়িয়ে রয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। আত্মঘাতী বোমা হামলার তত্ত্বও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।

https://x.com/hemantrajora_/status/1987880876693504377?t=KKECDVzsThpn4JZb2be8OQ&s=19

দিল্লির   লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে সোমবার সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণের  তদন্তে নতুন তথ্য উঠে এল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে কোনও শার্পনেল বা বেলিস্টিক (ক্ষেপক) উপাদান  পাওয়া যায়নি। পুলিশ সূত্রে বলা হচ্ছে, এমনকি মৃত ও আহতদের শরীরে ছররা বা গুলির মতো ক্ষতচিহ্নও নেই। বিস্ফোরণের অভিঘাত ও আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারণে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, ২০ জনের বেশি আহত।

https://x.com/krishnakantt15/status/1987884213190951194?t=aAPlvIsaG1yVkz66yIIpcA&s=19

পুলিশ জানিয়েছে, সাধারণত প্রচলিত বিস্ফোরকে শার্পনেল ক্ষতচিহ্ন দেখা যায়, কিন্তু এই ঘটনায় তা হয়নি। বিস্ফোরণটি ঘটেছে একটি চলন্ত হুন্ডাই i20 গাড়ির  পিছনের অংশে। লালকেল্লার সামনে পার্ক করা কোনও গাড়িতে বিস্ফোরণ  ঘটেনি। ঘটনাস্থলে কোনও গর্ত বা ‘ক্রেটার’-এরও অস্তিত্ব মেলেনি, যা সাধারণত উচ্চক্ষমতার বিস্ফোরণে দেখা যায়।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ  জানিয়েছেন, “লালকেল্লার কাছে ট্রাফিক সিগন্যালে ধীরগতির একটি i20 গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চ, স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চ, এনএসজি, এনআইএ এবং এফএসএল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। আশপাশের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সবদিক খতিয়ে সম্পূর্ণ তদন্ত চালানো হবে।”

সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, লালকেল্লার কাছে সুভাষ মার্গ সিগন্যালে একটি চারচাকা গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। শাহের কথায়, ‘‘আমি দিল্লির সিপি এবং স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে যা উঠে আসবে, সব প্রকাশ করা হবে জনসমক্ষে।’’ তিনি ঘটনাস্থলে যাবেন বলে জানিয়েছেন। প্রথমে তিনি লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে যান। সেখানেই আহতদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গেও।

এ ঘটনায় অন্তত আট জনের মৃত্যু হয়েছে, এবং একাধিক আহতকে গুরুতর অবস্থায় এলএনজেপি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্ফোরণের সঠিক কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তদন্তকারীরা সম্ভাব্য সব সূত্র পরীক্ষা করে দেখছেন— এটি প্রযুক্তিগত ত্রুটি, দাহ্য পদার্থের সংস্পর্শ, নাকি পরিকল্পিত হামলা— তা জানার চেষ্টা চলছে।

দিল্লিতে এমন বিস্ফোরণ ঘটায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে গোটা রাজধানীজুড়ে। পুলিশ আশপাশের সমস্ত যানবাহন ও নজরদারি ফুটেজ পরীক্ষা করছে, যাতে বিস্ফোরণের পেছনের প্রকৃত রহস্য জানা সম্ভব হয়।

কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী  জমানায় প্রথমবার রাজধানী দিল্লিতে  এই প্রথম এত বড় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। ঘটনাচক্রে এদিনই জম্মু ও কাশ্মীর ও হরিয়ানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ধরা পড়েছেন দুই চিকিৎসক এবং এক মহিলা চিকিৎসক। তাদের জইশ-ই-মহম্মদ ও আনসার গজওয়াত-উল-হিন্দ -এর আন্তর্জাতিক জঙ্গি মডিউলের সঙ্গে যুক্ত থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পুলিশ।

প্রথমে পাওয়া গেছিল ৩৬০ কেজি বিস্ফোরকের হদিস। কিন্তু তদন্ত এগোতেই জানা যায়, মোট ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে! ফরিদাবাদের আল ফালাহ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ডা. মুজাম্মিল শাকিলের ভাড়া করা বাড়ি থেকেই এই বিস্ফোরক মজুত পাওয়া যায়। তিনি তিন মাস আগে বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন।

ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ফরিদাবাদের চিকিৎসক মুজাম্মিল, আরও এক কাশ্মীরি চিকিৎসক এবং এক ইমাম। খোঁজ মিলেছে এক মহিলা চিকিৎসকেরও, শাহিন নামে পরিচিত তিনি। তাঁর কাছ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Previous articleIchhamoti River : বনগাঁ পুরসভার উদ্যোগে সাফ হলো ইছামতি নদীর কচুরিপানা: দেখুন ভিডিও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here