দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কর্নাটকে কাজ করতে গিয়ে মৃত দেগঙ্গার পাঁচ শ্রমিকের পরিবারের সদস্যদের হাতে দু’লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য তুলে দিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, জেলাশাসক সুমিত গুপ্তার উপস্থিতিতে তাঁদের হাতে এই অর্থ তুলে দেওয়া হয়।
এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়, দেগঙ্গা এবং হাড়োয়ার দুই বিধায়ক রহিমা বিবি ও হাজি নুরুল ইসলাম-সহ প্রশাসনের অন্য কর্তারা ।
মৃত শ্রমিকদের পরিবারের অভিযোগ, রাজ্যে কাজের সুযোগ থাকলে তাঁদের ভিন্ রাজ্য কাজ করতে যেতে হত না। নানা জায়গায় কাজের জন্য আবেদন করেও কোনও ফল মেলেনি। তাই বাধ্য হয়ে ওই পাঁচ শ্রমিককে ভিন্ রাজ্যে কাজ যেতে হয়েছিল। যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বনমন্ত্রী। তিনি বলেন,‘‘বাম আমলে ক্ষতিপূরণ পেতে এক বছরেরও বেশি সময় লেগে যেত।
সেখানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃতদের পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দিল রাজ্য সরকার।’’ মন্ত্রী শ্রমিকদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
আজ কর্নাটকের ম্যাঙ্গালুরুতে থেকে বিমানে নিহত পাঁচ শ্রমিকের কফিনবন্দি দেহ আসে দমদম বিমানবন্দরে । প্রশাসনের উদ্যোগে কফিনগুলি নিয়ে যাওয়া হয় দেগঙ্গায় নিহতদের বাড়িতে । সেখানে পরিবারের তরফে ধর্মীয় রীতি মেনে দেহগুলি কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় ।
প্রসঙ্গত, প্রায় আট মাস আগে কর্নাটকের ম্যাঙ্গালুরুতে মাছের প্যাকেজিংয়ের কাজে গিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক । সেখানেই মাছের বর্জ্য পদার্থের ম্যানহোল পরিষ্কার করতে নেমে রবিবার বিষাক্ত গ্যাসে দমবন্ধ হয়ে মারা যান পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিক । অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও চারজন। মৃত ও আহতরা প্রত্যেকেই দেগঙ্গা, হাড়োয়া এবং শাসন এলাকার বাসিন্দা । সেই মর্মান্তিক ঘটনায় প্রাণ হারান মহম্মদ ওমর ফারুক, মহম্মদ সামিউল ইসলাম, নিজামুদ্দিন সাহাজি, সারাফাত আলি ও মিরাজুল ইসলাম ৷