সুপ্রকাশ চক্রবর্তী: বাংলার পণ্ডিতদের সারস্বত চর্চাকে সহজে গবেষকদের কাছে নিয়ে আসতে এবার অভিনব উদ্যগ নিচ্ছে ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টার। তাদের উদ্যোগে ভারতীয় দর্শন-এর গ্রন্থ ও পান্ডুলিপি গুলিকে এবার সংরক্ষণ করে সেগুলিকে গবেষকদের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে ।
এই উপলক্ষে রবিবার কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারর্স এর এইচ এল রায় মেমোরিয়াল হলে ‘দর্শন মনীষা ডিজিটাল লাইব্রেরির’ উদ্বোধন করেন টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলোজফির অধ্যাপক জনার্দন গানেরি।
তিনি বলেন, ভারতীয় দর্শন ও ততকালীন পন্ডিতদের পান্ডুলিপির এই ডিজিট্যাল গ্রন্থাগার গবেষকদের অনেকটাই কাজে আসবে।
ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ডিন অফ একাডেমিক এফেয়ার্স ডক্টর সুমন্ত রুদ্র বলেন, “১৭ থেকে ১৯ শতকের মধ্যে নবদ্বীপে রচিত নব্য-ন্যায়ের গ্রন্থগুলিকে ইতিমধ্যেই ডিজিটাইজ করা হয়েছে। “
কলকাতার বালিগঞ্জে রিসার্চ সেন্টারের গ্রন্থাগারে কলকাতার টোল-কেন্দ্রিক পণ্ডিতদের রচনাগুলিকেও ডিজিটাইজ করা হয়েছে। অপর একটি অংশে বিংশ-শতাব্দীর ইংরেজী জানা দার্শনিকদের রচিত গ্রন্থগুলিকেও ডিজিটাইজ করা হয়েছে।
এই রচনাগুলি সুদুর্লভ। যে কোনো আগ্রহী ব্যক্তির পক্ষে বাংলার এই গৌরবোজ্জ্বল অবদানের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ এনে দেওয়া হল ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে।
এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবিত্রি বাই ফুলে পুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলোজফির প্রাক্তন অধ্যাপক শরদ দেশপান্ডে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলজফির প্রাক্তন অধ্যাপক প্রবাল কুমার সেন , দর্শন মনীষা ডিজিটাল লাইব্রেরির কোঅর্ডিনেটর অধ্যাপক নির্মাল্য নারায়ন চক্রবর্তী প্রমুখ।