DA Issue: অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ রাজ্যপালের, বিষয় জটিল হলেও সরল সমাধান সম্ভব, বললেন আনন্দ

0
555

দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃ কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা দাবি করে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা যে আন্দোলনে নেমেছেন তাতে ইতিমধ্যে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি। এ বার আন্দোলনকারীদের প্রতি সহানুভূতি জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও ৷

শনিবার রাতে রাজভবনের তরফে একটি টুইট করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আন্দোলনকারী কর্মচারীরা যেভাবে চার সপ্তাহ ধরে অনশন ধর্মঘট করছেন তা দেখে রাজ্যপাল গভীর ভাবে মর্মাহত। বিষয়টা জটিল হতে পারে, কিন্তু সব সময়েই একটা সহজ সমাধানের পথ পাওয়া যায়।

টুইটে বলা হয়েছে, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল অনশনকারীদের জীবন। তাঁরা এমনটা একটা ব্যাপার নিয়ে আন্দোলন করছেন যা তাঁদের হৃদয়ের খুব কাছের। রাজ্যপাল অনুরোধ করেছেন, যাতে আন্দোলনকারীরা অনশন বন্ধ করেন এবং সব পক্ষ আলোচনা করে অচলাবস্থা কাটাতে এগিয়ে আসেন”।

বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে রবিবারই সকাল ১১ টায় পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল রাজভবন যাবেন। সেখানে রাজ্যপালের কথায় আশ্বস্ত হলে অনশন উঠে যেতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্য সরকারের কর্মচারী সংগঠন, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্য ভাস্কর ঘোষ। অন্যদিকে, রাজ্যপালের অনুরোধ মেনে অনশন তুলে নিলেও আন্দোলন জারি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

রাজ্যপাল তথা রাজভবনের এই স্বতঃপ্রণোদিত বিবৃতি কৌতূহলের উদ্রেক করেছে। ডিএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ওই মামলাতেই নিষ্পত্তি হওয়ার কথা যে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাবেন কি পাবেন না। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, রাজভবনের এই বিষয়টা গোচরে থাকার কথা। কিন্তু তার পরেও তাঁর বিবৃতিতে সেটির কোনও উল্লেখ নেই। সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও সবপক্ষ কীভাবে কোন শর্তে আলোচনায় বসতে পারে তাও স্পষ্ট করে বলা নেই।

এ ব্যাপারে তৃণমূল এখনও পর্যন্ত দলীয় তরফে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে দলের একাধিক রাজ্য নেতা ঘরোয়া আলোচনায় বলেন, রাজভবনের উপর বিজেপির ছায়া আগের মতোই হয়তো প্রসারিত হতে শুরু করেছে। ক্রমশ সব বিষয়েই বিবৃতি বা টুইট করতে শুরু করেছে রাজভবন। তাতে রাজনৈতিক অভিপ্রায়ও আর লুকনো থাকছে না।

প্রসঙ্গত, ডিএ নিয়ে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। বিক্ষোভ-অনশনের পাশাপাশি শুক্রবার ধর্মঘটেও সামিল হন তাঁরা। যদিও কড়া হাতে এই ধর্মঘট প্রতিহত করার চেষ্টা করে রাজ্য সরকার। যাঁরা শুক্রবার চাকরিতে যোগ দেননি তাঁদের সার্ভিস ব্রেক করা হবে এবং একদিনের বেতন কাটা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। যা নিয়ে পাল্টা প্রতিবাদ জানায় বিজেপি।

Previous articleGroup C:হাইকোর্টের নির্দেশের পর চাকরি গেল ৮৪২ জনের, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল পর্ষদ
Next articleDesher Samay e paper দেশের সময় ই পেপার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here