দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দেশে ঝড়ের গতিতে বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ।লাফিয়ে বেড়ে দেশের দৈনিক কোভিড সংক্রমণ ফের পৌঁছে গেল দু’লক্ষের দোরগোড়ায়। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দশ হাজারের কম থেকে এই পর্যায়ে পৌঁছল দু’সপ্তাহের মধ্যে! গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭২০ জন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৩ কোটি ৬০ লক্ষ ছাড়িয়েছে।
আক্রান্তের পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে বেড়েছে দৈনিক মৃতের সংখ্যা। ৪৪২ জনের প্রাণ করোনাভাইরাস কেড়েছে গত এক দিনে। দেশের সব রাজ্যে আক্রান্ত বাড়লেও মৃতের সংখ্যা বেশি কেরলে। করোনাভাইরাসের ওমিক্রন রূপে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৪ হাজার ৮৬৮তে। দেশে ওমিক্রণে আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি মহারাষ্ট্রে।
এই মুহূর্তে দেশে অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯,৫৫,৩১৯। সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩,৬০,৭০,৫১০। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬০,৪০৫জন। ওমিক্রন ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত ৪,৮৬৮৯। দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে আজকের সংখ্যা ২১১ দিনের মধ্যে রেকর্ড।
তৃতীয় ঢেউ শুরু হতে না হতেই দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ২ লক্ষের কাছাকাছি। টিকাকরণের গতি বাড়িয়ে, কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা সত্ত্বেও পরিস্থিতি কোনও মতেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। বুধবারের করোনা পরিসংখ্যানেও উদ্বেগ বাড়ল স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭২০ জন। যা মঙ্গলবারের তুলনায় প্রায় ১৫.৮ শতাংশ বেশি। রাতারাতি বেড়েছে পজিটিভিটি রেটও। বুধবার দেশে কোভিড পজিটিভিটি রেট বেড়ে ১১.০৫ শতাংশ।
এখনও পর্যন্ত দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪ হাজার ৮৬৮ জন। এদিকে গতকালের তুলনায় বুধবার কোভিডে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে অনেকটাই। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৪২ জন। বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩১৯। একদিনে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৬০ হাজার ৪০৫ জন। এর মধ্যেই দেশে জোরকদমে চলছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের পাশাপাশি ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রক্রিয়াও চলছে। এখনও পর্যন্ত দেশে ১৫৩ কোটি ৮০ লক্ষের বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসকদের কথায়, সংক্রণ যে ভাবে বাড়ছে তাতে তা হালকাভাবে নেওয়ার জায়গা নেই। তাই অবশ্যই সাবধানে থাকতে হবে সকলকেই। ব্যবহার করতে হবে মাস্ক। এড়িয়ে চলতে হবে ভিড়। আজ স্বরাষ্ট্র সচিব দেশের বিভিন্ন রাজ্যের হাসপাতালগুলিকে অক্সিজেনের যোগান পর্যাপ্ত রাখার নির্দেশ দিয়েছে।