দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শহর থেকে গ্রাম, সর্ জায়গাতেই রোগীর সংখ্যাটা দিন দিন বেড়ে চলেছে। প্রতিদিনই মফস্বল বা গ্রামীণ হাসপাতালে যেমন করোনা পরীক্ষার ভিড় বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেও আগের দুটি ঢেউয়ের সময় যেমন করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছিল, এবছরের এই তৃতীয় ঢেউয়েও তার ব্যাতিক্রম ঘটেনি।
সেই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে তৈরি করা হচ্ছে সম্পূর্ণ নতুন ১০০ শয্যার একটি পরিকাঠামো। ইতিমধ্যেই সেই কাজও শুরু হয়ে গেছে। হাসপাতালের সুপার চিকিৎসক বিবেকানন্দ বিশ্বাস জানান, করোনা রোগীদের জন্যই এই নতুন পরিকাঠামোটি গড়ে তোলা হচ্ছে এবং দ্রুততার সঙ্গে এর কাজ চলছে। তিনি আরও বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই নতুন পরিকাঠামোটি গড়ে তোলা হচ্ছে।
রাজ্য সরকারের লক্ষ্য হল শহরের সঙ্গে গ্রামের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন। রাজ্যে কলকাতা এবং অন্যান্য জায়গা মিলিয়ে সরকারি স্তরে এই মুহূর্তে ২৪,০০০টি শয্যা করোনা চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা আছে। প্রয়োজনে আরও শয্যা বাড়ানো হবে। গ্রামের দিকে রোগীর হয়রানি বন্ধ করতে বা বিশেষ করে বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে রোগীকে যাতে ঘটি–বাটি বিক্রি করতে না হয় সে কথা মাথায় রেখেই দ্রুততার সঙ্গে গ্রামীণ হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। হাবড়া হাসপাতালেও সেজন্য নতুন করে পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে।’
হাবড়া হাসপাতালের সুপার দেশের সময় অনলাইন কে আরও জানান, ‘এখন এই হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার জন্য আছে ৮০টি শয্যা। কিন্তু প্রতিমুহুর্তে আক্রান্তদের সংখ্যাটা বেড়ে চলেছে। এই হাসপাতালটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ,বনগাঁ বা বারাসত হাসপাতাল বেশ কিছুটা দূরে হওয়ায় আশেপাশের এলাকার বিশাল সংখ্যক বাসিন্দাকে হাবড়া হাসপাতালের ওপর নির্ভর করে থাকতে হয়। সেকারণেই বর্তমানে করোনা চিকিৎসার জন্য আমাদের যতগুলি শয্যা আছে তার বাইরেও এখানে আরও ১০০টি নতুন শয্যার ব্যবস্থা করতে চলেছি। ভবিষ্যতে যখন করোনার প্রকোপ থাকবে না তখন এই শয্যাগুলি অন্য রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে।