দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বাংলার করোনা পরিস্থিতি ফের উদ্বেগজনক। সংক্রমণের হারে দেশে প্রথম কেরলের পরেই বাংলার স্থান।
গত বছরের সেই স্মৃতি ফিরছে। রাজ্যে একদিনে সংক্রমণ চার হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তারপর ক্রমান্বয়ে সংক্রমণের গ্রাফ বেড়েছে, আক্রান্ত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। একটা সময় হাসপাতালে শয্যার আকালও চরম আকার নিয়েছিল।
ফের একইভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় উদ্বেগ বেড়েছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। গোটা দেশেই করোনা বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গে। সংক্রমণের হারও বিপজ্জনক।
খুশখুশে কাশি, ঘুসঘুসে জ্বর নিয়েই বাঙালি দিনযাপন করছে। গলায় ব্যথা মেটাতে প্যারাসিটামল খেয়ে নিলেও মুখে নেই মাস্ক। স্যানিটাইজারের ব্যবহার তো কবেই কমে গিয়েছে। যাঁরা মাস্ক পরছেন তাঁদের বেশির ভাগেরও আবার থুতনির নীচে নিয়মরক্ষার অবস্থান। তবে ভয় কাটেনি। করোনা নিয়ে আলোচনার সময়ে সেই ভয় প্রকাশও পাচ্ছে। তা সত্ত্বেও সচেতন নন অধিকাংশই। এখানেই বিপদ দেখছেন চিকিৎসকেরা ৷
করোনার চতুর্থ ঢেউ আসছে বলে সতর্কতা জারি হয়েছে। এখন করোনা হলেও জটিল রোগ তেমন দেখা যাচ্ছে না। মৃত্যুহারও কম। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা সংক্রমণে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, সংক্রমণের হার ১৮ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। কিছুদিন আগেই সংক্রমণের হার তথা পজিটিভিটি রেট ১২ শতাংশে পৌঁছেছিল। এর মধ্যেই দৈনিক সংক্রমণের হার ১৮ শতাংশে পৌঁছে গেছে। রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে কলকাতা, তারপরেই উত্তর ২৪ পরগনা। কলকাতায় একদিনে করোনায় ৮৩৪ জন আক্রান্ত। উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে করোনায় ৮১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
করোনা যেভাবে বাড়ছে তাতে সবচেয়ে বেশি চিন্তায় অভিভাবকেরা। কারণ স্কুল খুলে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে সংক্রমণ ছড়াবে কিনা সে নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। এদিকে স্বাস্থ্য দফতরের উদ্বেগ বাড়িয়ে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, কোভিডের আরও এক নতুন প্রজাতি হানা দিয়েছে যার নাম বিএ.২.৭৫ (BA.2.75)। বিজ্ঞানীদের ভারতের ১০টি রাজ্যে এই করোনার এই প্রজাতি ছড়িয়ে পড়েছে, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেরও নাম রয়েছে।
করোনা বিধি আরও জোরদার করার জন্য নির্দেশিকা দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সেখানে মাস্ক পরা ফের বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। পারস্পরিক দূরত্ব মানতে বলা হচ্ছে। কোভিড টেস্ট বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবার আগের মতোই কঠোর করোনা বিধি চালু করার ভাবনাচিন্তা চলছে সরকারি মহলে।