দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: বড়দিনের বিশেষ আকর্ষণ পার্কস্ট্রিট।আলোর ঝলমল, রেস্তরাঁয় পার্টি আরও কত কী। কিন্তু যদি এর সঙ্গে পাওয়া যায় কিছু বাড়তি কিছু, তাহলে কেমন হয়? সেই বাড়তি আনন্দ দেবে এপিজে হাউস। এপিজে সুরেন্দ্র গ্রুপের হেডকোয়ার্টার এপিজে হাউজে এবার ৫৪ ফুটের ক্রিসমাস ট্রি। পার্কস্টিটের এপিজে হাউজে গেলে এবার দেখতে পাবেন বড় ক্রিসমাস ট্রি। সেই সঙ্গে রয়েছে সাত ফুটের একটি সান্টাক্লজ ও একটি সাত ফুট লম্বা পরী।
ক্রিসমাসের সময় প্রতিবছরই এপিজে হাউস সেজে ওঠে। কিন্তু এবার আরও বিশেষভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সংস্থার এক উদ্ধর্তন সদস্যের কথায়, ‘প্রতিবছরই ক্রিসমাসের সময় এপিজে হাউজ সাজিয়ে তোলা হয়। পার্কস্ট্রিটের সাজসজ্জার সঙ্গে এটি সাজিয়ে তুলে ক্রিসমাস স্পিরিট যোগ করতে পেরে আমরা আনন্দিত এবং আশা করি যে আমাদের এই উদ্যোগ কলকাতা ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যাল বা পার্কস্ট্রিট ফেস্টিভ্যালের পরিপূরক হবে।’
৫৪ ফুট এই ক্রিসমাস ট্রি-টির মধ্যে ১৬১টি ছোট এবং বড় তারা, ৩৫০টি বল, ৩০০টি ঘণ্টা, ১০০টি গিফট বক্স রয়েছে। সেই সঙ্গে ১২ হাজার এলইডি স্পার্কল লাইট এবং দেড় লক্ষ এলইডি টুনি লাইট ব্যবহার করা হয়েছে। ২৫ জন কর্মী ১০ দিন ধরে এই ক্রিসমাস ট্রি-কে তৈরি করেছেন।
বৃহস্পতিবার ক্রিসমাস ট্রি-টির উদ্বোধন করেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। আগামী ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত এটি সাধারণ মানুষ গিয়ে দেখতে পারবেন। এপিজে সুরেন্দ্র গ্রুপ চা, হসপিটালিটি, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় তাদের নিযুক্ত করেছে। ৪৩ হাজারেরও বেশি ব্যক্তি এই সংস্থায় কর্মরত। আর এবার বড়দিনে এক অনন্য উদ্যোগ নিল এই সংস্থা। পার্কস্ট্রিটে ক্রিসমাসের এবারের বড় আকর্ষণ এপিজে গ্রুপের ৫৪ ফুটের ক্রিসমাস ট্রি।
পাশাপাশি বড়দিন ও বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে পার্ক স্ট্রিট সহ শহরের রাস্তায় দেখা মিলবে দোতলা বাসের। নীল–সাদা রঙের দুটি দোতলা বাস আপাতত মহানগরীতে দেখা যাবে। তবে কলকাতায় দোতলা বাস ফিরলেও তা দিয়ে প্রতিদিন যাত্রী পরিবহণ করা হবে না।
পর্যটন প্রসার ঘটানো রাজ্য সরকারের লক্ষ্য। সে কারণেই পর্যটন দপ্তর উৎসবের মরশুমে চালাবে দোতলা বাস। পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা খরচ করে দু’টি দোতলা বাস তৈরি করিয়েছে। বাসগুলি তৈরি করেছে বিশেষজ্ঞ সংস্থা জামশেদপুরের ‘বেবকো বা বিবিকো’। ৪৫ আসনের দুটি দোতলা বাস আপাতত পথে নামলেও ধাপে ধাপে মোট ১০টি দোতলা বাস নিতে চায় রাজ্য সরকার।
জানা গেছে, দু’টি বাসই হুডখোলা। বর্ষা বা গরমে ছাদে অস্থায়ী ছাউনি দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে নির্মাণসংস্থার সঙ্গে নিগম কর্তাদের কথা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিশেষ এক ধরণের শিট ব্যবহার করা যাবে। তবে হুড খোলা ছাদেই আপাতত এই উৎসবের মরসুমে মজা পাবেন শহরের মানুষ। বিশেষ করে শিশুরা যাতে আনন্দ পায়, তাই এই বাস আগামী কয়েকদিন থাকবে পার্ক স্ট্রিটে।
নতুন নীল–সাদা বাসে থাকছে সমস্ত আধুনিক ব্যবস্থা। থাকছে আগের চেয়ে বেশি চওড়া সিঁড়ি। তবে যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে তা বাসের ভেতরে করা হয়েছে। বাসের মধ্যে থাকছে সিসি ক্যমেরা, প্যানিক বাটন। আসন আগের চেয়ে অনেক বেশি আরামদায়ক। দোতলা অংশ ঘিরে রাখা আছে স্বচ্ছ ফাইবার গ্লাস দিয়ে।
বহুদিন ধরেই রাজ্য সরকার কলকাতায় দোতলা বাস চালাতে আগ্রহী ছিল। অনেকটা লন্ডনের সিটি ট্যুরের ধাঁচে শহরে পর্যটনের ক্ষেত্রে এই বাস ব্যবহারের কথা ভাবা হয়েছিল। এবার এই বাস দিয়ে সেই লক্ষ্য পূরণ হবে বলে মনে করছেন পরিবহণ ও পর্যটন দপ্তরের আধিকারিকরা।