ফের পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে গেল অভিযুক্ত। চোপড়ায় তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যকে ধরতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ। গাড়িতে তোলার সময় গ্রামবাসীরা ছিনিয়ে নিয়ে গেল অভিযুক্ত মজিবুর রহমানকে।
শনিবার সকালে চোপড়ার কালিকাপুরে তৃণমূল নেতাকে ধরতে গিয়েছিল ১৭ জন পুলিশকর্মী। অভিযুক্তকে আটক করার পরে গ্রামবাসীরা ঘেরাও করে তাদের। পুলিশ যখন মুজিবুরকে গাড়িতে তুলতে যায় তখনই নেতাকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান স্থানীয়রা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এলাকায় ধরপাকড় চালাচ্ছে পুলিশ। এগারো জনকে এখনও অবধি ঘটনায় আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মজিবুরের বিরুদ্ধে সমাজবিরোধী কাজকর্মে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন মজিবুর। সম্প্রতি গ্রামে ফিরে আসেন তিনি। সেই খবর পৌঁছয় পুলিশের কাছ। এ দিন তাঁকে ধরতে গ্রামে যায় পুলিশ।

অভিযোগ, মজিবুরকে গ্রেপ্তার করে ভ্যানে তুলতেই গ্রামবাসীদের একাংশ পুলিশের গাড়ির সামনে রুখে দাঁড়ান। এর পর অভিযুক্তকে পুলিশের গাড়ি থেকে বেরিয়ে পালাতে সাহায্য করেন। পুলিশ বাধা দিতে গেলেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। খবর পেয়ে চোপড়া থানার আইসি সুরজ থাপার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে বিক্ষোভকারীদের। ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ সুপার। তিনি জানান, “অস্ত্র সংক্রান্ত ব্যাপারে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। সেই কারণেই তাঁকে ধরতে যাওয়া হয়েছিল। সেই সময় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পুলিশকর্মীদের।” জানা গিয়েছে যতক্ষণ না পুলিশ আসামিকে এবং যারা ছিনিয়ে যাওয়া গ্রামবাসীদের গ্রেফতার করতে পারছে ততক্ষণ তল্লাশি অভিযান চলবে। বস্তুত, এর আগে আদালত থেকে জেলে ফেরার পথে গোয়ালপোখরে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় সাজ্জাক আলম নামে খুনের আসামি। পরে চোপড়া সীমান্ত দিয়ে পালানোর সময় পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয় খুনের মামলায় বিচারাধীন সাজ্জাকের। গোয়ালপোখরের পর এবার খানিকটা একই ঘটনা চোপড়াতেও।


বস্তুত, এর আগে আদালত থেকে জেলে ফেরার পথে গোয়ালপোখরে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় সাজ্জাক আলম নামে খুনের আসামি। পরে চোপড়া সীমান্ত দিয়ে পালানোর সময় পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয় খুনের মামলায় বিচারাধীন সাজ্জাকের। গোয়ালপোখরের পর এবার খানিকটা একই ঘটনা চোপড়াতেও।
