প্রদীপ দে , ঢাকা : চট্টগ্রামের কন্টেনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড । পরপর বিস্ফোরণে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। প্রথমে মৃতের সংখ্যাটা ছিল অন্তত ১৬ জন। আহত ছিল শতাধিক। পরে মৃত বেড়ে হয়েছে ৪১ জন। আহতের সংখ্যা ৪৫০।তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত রাতে ঠিক কীভাবে ওই ভয়াবহ আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি । দমকলের কর্মীদের ডাকা হয়েছিল আগুন নেভানোর জন্য। দমকল আসার পরেই বিস্ফোরণ হয়। মনে করা হচ্ছে ওই ডিপোর মধ্যেকার কিছু কন্টেনারে বিস্ফোরক রাসায়নিক পদার্থ রাখা ছিল। সেই থেকেই এমন বিস্ফোরণ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা গেছে আহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জন এমন রয়েছেন যাঁদের শরীরে ৬০ থেকে ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে । এতটাই জোরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয় যে অন্তত ৪ কিলোমিটার দূর থেকে সেই আওয়াজ শোনা গিয়েছে। আশপাশের বাড়িঘরের জানলার কাঁচ ভেঙে গেছে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শনিবার রাত ৯টা নাগাদ এই অগ্নিকাণ্ড হয়েছে বলে খবর। সকাল থেকে শহরের হাসপাতালগুলি ভরে গেছে আহতদের ভিড়ে। বিস্ফোরণের পর বেশ কয়েকঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও আগুন পুরোপুরি আয়ত্তে আনতে পারেনি দমকল বাহিনী। ঘটনাস্থলে রয়েছে ১৯টি দমকলের ইঞ্জিন। প্রতিনিয়ত আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। ওই গুদামে অন্তত ৬০০ কর্মী কাজ করতেন বলে খবর।
16+ dead and 200+ severely wounded by terrible explosion and fire at a large container deport, port city Chittagong.
— Ershad Khan (@ershadkhandu) June 5, 2022
Death tool is increasing, and fire till now not in control.
My heartfelt condolences and sympathies go to victims families. #chittagongfire pic.twitter.com/8TPCacoNhV
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা এবং উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানো হয়েছে। রবিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন। প্রথম আলো-কে তিনি বলেন, “আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা, আগুন যাতে আরও বেশি ছড়িয়ে না পড়ে এবং দ্রুত উদ্ধারকাজের জন্য সেনার ১৫০-২০০ সদস্যকে আনা হয়েছে।” তবে কোথা থেকে আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার। এই ঘটনার তদন্তের জন্য ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি।