CAA ডেডলাইন- ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪,  সিএএ-তে নাগরিকত্বের আবেদনের সময় ১০ বছর বাড়িয়ে দিল কেন্দ্র

0
44

অসমের  মতো সব রাজ্যে ডিটেনশন ক্যাম্প  তৈরির নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ! আর এই ঘোষণায় একদিকে যেমন আলোচনা হচ্ছে, অন্যদিকে সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্ক। এরই মধ্যে সিএএ নিয়েও বড় ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের পুরনো বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান , আফগানিস্তান , বাংলাদেশ থেকে যে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি, খ্রিস্টানরা ভারতে ধর্মীয় কারণে ঢুকেছেন, তাঁরা সবাই সিএএ-তে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন‍্য আবেদন করতে পারতেন। তবে নয়া বিজ্ঞপ্তিতে সেই সময়ই বাড়িয়ে করে দেওয়া হয়েছে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর অর্থাৎ তা বেড়ে গেছে ১০ বছর।

সিএএ নিয়ে প্রথম থেকেই হাজারো অভিযোগ রয়েছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের। তবে সেইসব অভিযোগকে পাত্তা না দিয়েই ২০২৪ সালের মার্চ মাসের গেজেট নোটিফিকেশন দিয়ে সিএএ কার্যকর করার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। তারপর স্বাভাবিকভাবেই দেশজুড়ে আলোড়ন শুরু হয়। কিন্তু সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসেনি কেন্দ্রীয় সরকার। এবার সিএএ সংক্রান্ত আরও বড় ঘোষণা করা হল।

এই ঘোষণাকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস । দলের নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, এসআইআর  থেকে শুরু করে একাধিক ইস্যু থেকে নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই এইসব ঘোষণা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দেশের নানা জায়গায় যখন বাঙালিকে অপমান করা হয়, তখন কেন্দ্রীয় সরকার রা কাড়ে না। তবে এনআরসি, সিএএ, এসআইআর নিয়ে ঘোষণা করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

এই আবহে ডিটেনশন ক্যাম্প ইস্যুতেও আতঙ্কিত অনেকে। কারণ এতদিন ডিটেনশন ক্যাম্পের বিষয়টি অসমেই সীমাবন্ধ ছিল। সে রাজ্যে বিদেশি বলে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের সেখানে আটক করে রাখা হয়। তবে এখন অভিবাসী ও বিদেশি বিষয়ক নয়া আইনে সব রাজ্য সরকারকেই ডিটেনশন ক্যাম্প চালু করতে বলা হয়েছে।
সোমবার রাত থেকে সারা দেশে চালু হওয়া ওই আইনে বলা হয়েছে প্রাথমিক তদন্তে কোনও ব্যক্তি নিজেকে ভারতীয় প্রমাণে ব্যর্থ হলে বা নথিপত্র সন্দেহজনক মনে হলে তাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাতে পারে।

এই সংক্রান্ত মামলাও আর সাধারণ আদালতের বিচারের এক্তিয়ারে থাকছে না। অসমের মতো সন্দেহজনক বিদেশিদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালের কাছে পেশ করা হবে। প্রশাসনের তরফে এই ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন জেলাশাসকেরা। প্রাথমিক তদন্ত তদারকের ভার জেলাশাসকদের দেওয়া হয়েছে সদ্য চালু হওয়া আইনে। দু’দিন আগে আইনটি সারা দেশে কার্যকর করেছে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

নয়া আইনটি এমন সময় চালু করা হল যখন দেশ জুড়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। অসম বাদে বাকি রাজ্যগুলিতে ডিটেনশন ক্যাম্প না থাকায় ধৃতদের পুশ ব্যাক বা ধাক্কা দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অবস্থায় সব রাজ্যে ডিটেনশন ক্যাম্প খোলার নির্দেশ অর্থবহ। 

Previous articleBagda:শ্বশুর-শাশুড়ির চায়ে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে একই বাড়ির দুই বউকে নিয়ে পালালেন যুবক!
Next articleশ্বশুর-শাশুড়িকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রেমিককে নিয়ে পালানো দুই বৌমা গ্রেফতার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here